লালমনিরহাটের পাটগ্রামে গরু চুরির অভিযোগে চোর সন্দেহে বাবুল হোসেন (৪০) নামে একজনকে আটক করেছে এলাকাবাসী।
গতকাল (২৫ এপ্রিল) সকালে চোর সন্দেহে বাবুলকে ঝালাঙ্গী সীমান্ত ফাঁড়ি এলাকায় আটক করে এলাকাবাসী। একসূত্রে জানা যায়, বাবুল ওই এলাকার মৃত মনসুর আলীর ছেলে। তিনি একই এলাকার বাসিন্দা। এলাকাবাসী জানায় মনসুর নামের ওই ব্যক্তি প্রকৃতপক্ষে চোর এবং এর বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে তার নামে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, গত (৪ এপ্রিল) পার্শ্ববর্তী ভারতীয় লোকজন ভারতীয় জমিতে গরু বেঁধে রাখে। ঐদিন ভারতীয় গরুটি বাংলাদেশী বাসিন্দা মোঃ বাবুল হোসেন, পিতা- মৃত: মনছুর আলী সে দুপুরে গরুটি নিয়ে আসে। পরবর্তীতে ওই গরুর জের ধরে ভারতীয় লোকজন অভিযোগ করে এবং সীমান্তে বেধে রাখা মোঃ রেজাউল ইসলাম (৪০), পিতা- মৃত: মহির উদ্দিন, সাং-ঝালাঙ্গী (কোনারবাড়ী), ওয়ার্ড নং- ০৪, এর গৃহ পালিত ৪টি ছাগল ভারতীয় বাসিন্দা গরুর মালিক শ্ৰী ভূপেন চন্দ্ৰ রায় ও শ্রী ভবেশ চন্দ্র রায় নিজ বাড়ীতে নিয়ে যায়।
এদিকে এ বিষয়টি রেজাউল ইসলাম স্থানীয় গন্যমান্য লোকজনসহ নেতা কর্মী ও ইউপি সদস্যকে অবগত হয়ে তারা সকলেই বাংলাদেশী বিজিবি ক্যাম্পে গিয়ে দায়িত্বরত অফিসারকে বিষয়টি অবগত করে। অতপর উক্ত ক্যাম্পে অফিসার আশ্বাস দেয় যে, উক্ত বিষয় নিয়ে ভারতীয় বিএসএফ এর সাথে আলোচনা করা হবে এবং মাননীয় গন্যমান্য লোকজনসহ বিজিবি ও বিএসএফ সহিত এক পতাকা বৈঠক হয় যে, উভয় পক্ষ গরু ছাগলের অনুসন্ধান পাইলে বিষয়টি সৃষ্ট সমাধান করা হবে বলে বৈঠক হয়।
এদিকে অনুসন্ধানসূত্রে জানা যায় যে, ভারতীয় সেই গরুটি বাংলাদেশী বাসিন্দা বাবুল হোসেন নিয়ে আসে। ভারতীয় লোকজন ছাগল ৪টি ফেরত দিতে অধ্যাবদী পর্যন্ত তাল-বাহানায় সময় অতিবাহিত করে। মাননীয় গন্যমান্য স্থায়ী লোকজনসহ ইউপি সদস্য এবং ক্যাম্প অফিসার একাধিক বার ভারতীয় লোকজনের নিকট হইতে ছাগল ৪টি উদ্ধারে ব্যর্থ হয়েছে।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ ওমর ফারুক বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।