ঝালকাঠি জেলার নলসিটি থানার সুবিদপুর গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী সাইদুল ইসলামের স্ত্রীকে নিয়ে উধাও হয়েছেন বরিশাল বিএম কলেজে ছাত্র নলছিটি থানার কামদেবপুর গ্রামের মোয়াজ্জেম তালুকদারের ছেলে শাকিল তালুকদার। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,
২৮/০৪/২০২৩ইংতারিখ বিকেল অনুমান ৫ ঘটিকার সময় মালয়েশিয়া প্রবাসী সাইদুলের বসত বাড়ি থেকে তার স্ত্রী কামাল শিকদারের মেয়ে কেয়া আক্তার তার পরকিয়া প্রেমিক শাকিল তালুকদারের হাত ধরে পালিয়ে যায়।
মালয়েশিয়ার প্রবাসী সাইদুলের মা জানান আমার ছেলেকে সর্বনিঃস্ব করে দিয়ে আমার পুত্রবধূ মোল্লারহাট ইউনিয়নের কান্দিপপুর গ্রামের মোয়াজ্জেম তালুকদারের ছেলে শাকিল তালুকদারের সাথে পালিয়ে যায়। তিনি আরো বলেন আমার ছেলের দেওয়া আমার পুত্রবধূ কেয়াকে ১০ ভরি স্বর্ণ, নগদ ১২ লক্ষ টাকা সহ আমার ব্যবহারিত স্বর্ণের চেইন ও আমার আলমারিতে থাকা কিছু টাকা নিয়ে ঘটনার দিন পালিয়ে যায়।প্রবাসী সাইদুলের মা সাংবাদিকদেরকে আরো বলেন যে এই খবর শুনে আমার ছেলে মালয়েশিয়া অসুস্থ হয়ে পড়েছে তিনি মালয়েশিয়া একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার বিষয় নিয়ে প্রবাসী সাইদুলের মা নলছিটি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এবং ঝালকাঠি জেলার বিজ্ঞ আমলী আদালতে একটি সিআর মামলা দায়ের করেন।
পালিয়ে যাওয়া শাকিল তালুকদারের বাবার সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমার ছেলে বিএম কলেজে মাস্টার্সে লেখাপড়া করে আমরাও শুনছি তিনি অন্য একজনের বউকে নিয়ে পালিয়ে গেছে। শাকিল এর বাবাকে তার ছেলেরসাথে পালিয়ে যাওয়া কেয়া আক্তার কে বিবাহ করছে কিনা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন তা আমি সঠিক জানিনা। প্রবাসী সাইদুলের বড় ভাই আল আমিন খান মনির সাংবাদিকদের জানান যে তিনি কিছুদিন পূর্বে ফ্রান্স থেকে বাংলাদেশে এসেছেন তার ছোট ভাইয়ের বউ পালিয়ে যাওয়া ঘটনার বিষয় তিনি তার মায়ের সাথে থানায় গিয়ে তার মাকে বাদী করে অভিযোগ দেন এবং বিজ্ঞ আদালতে মামলাও দায়ের করেন । এতে পালিয়ে যাওয়া শাকিল ক্ষিপ্ত হয়ে আল আমিনের বরিশালের বাসায় গিয়ে শাকিল তালুকদার ও তার সাঙ্গ ভঙ্গরা হামলা চালায় এবং বিভিন্ন ধরনের গালিগালাজ সহ ৫লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে আরো যে তুই এই সব বিষয় নিয়ে সামনে বারলে তাহলে তোকে প্রাণে মেরে ফেলবো ।বাসায় হামলা করার বিষয় আল আমিন বরিশাল মেট্রোপলিটন আমলি আদালতে একটি সিআর মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিষয় তদন্ত করার জন্য বিজ্ঞ আদালত বন্দর থানায় প্রেরণ করেন।উক্ত ঘটনার বিষয় সরল-জমিনে গিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে জানা যায় শাকিল তালুকদার বরিশাল বি এম কলেজের অধ্যয়নরত একজন ছাত্র আর কেয়া আক্তার সুবিদপুর গ্রামের কামালের মেয়ে তাদের পূর্ব থেকে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে যাহা খুব নেককার জনক এবং অবৈধ। ভুক্তভোগী প্রবাসী সাইদুলের বড় ভাইয়ের বউ জানান এই সমস্ত ঘটনার মূল হোতা ও সেল্টার দাতা শাকিল তালুকদারের মামা হাবিব দফাদার।
তিনি আরো বলেন হাবিব দফাদার তার বাড়িতে বসে শাকিল ও কেয়ার বিবাহ দিয়েছে যাহা আমরা শুনেছি এটা সম্পূর্ণ অবৈধ হয়েছে। উক্ত ঘটনার বিষয় তিনি সঠিক বিচার চান এবং অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করেন।ঘটনার বিষয় নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা নিষেধ