চট্টগ্রামের বোয়ালখালী ৪ নং শাকপুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেম্বরের প্রতিহিংসার শিকার রাস্তার পাশে লাগানো সরকারি গাছ। দিন দুপুরে ওপেন সিক্রেট কাউকে তোয়াক্কা না করে আইনে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে সরকারি গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ স্হানীয় ইউ,পি মেম্বারে বিরুদ্ধে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বললেন প্রমানিত হলেই আইনগত ব্যবস্থা। বৃক্ষ নিধনে দেশে সুস্পষ্ট আইন ও বিধি থাকলে ও এসব আইন ও বিধিকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার শাকপুরায় দিন দুপুরে কেটে নেয়া হচ্ছে সরকারি রাস্তার গাছ। এসব গাছ কাটাতে স্হানীয় জন প্রতিনিধির জড়িত থাকার সরাসরি অভিযোগ করছে এলাকাবাসী।
প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসী ও ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানাযায়-৪ নং শাকপুরা ইউনিয়নের তাজউদ্দীন সড়কের দু’পাশে অসংখ্য মূল্যবান ফলজ ও বনজ গাছ রয়েছে। যেগুলো জীব বৈচিত্র ও প্রাকৃতিক শোভা বর্ধনের পাশাপাশি স্হানীয় পথচারীদের শীতল ছায়া প্রদান করে আসছে দীর্ঘদিন থেকে । কিন্তু অভিযোগ রয়েছে এলাকার এক শ্রেণির প্রভাবশালী মহল নিজেদের প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কারো কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই সড়কের এসব গাছগুলো কেটে নিচ্ছেন অনবরত। ইতিমধ্যে বেশ কিছু গাছ কেটে নিয়েছেন তারা।
স্হানীয়দের পক্ষ হতে এমন অভিযোগ পাওয়ার পর গত ১১ই মে বৃহস্পতিবার সরেজমিনে সড়কটি পরিদর্শন করে দেখা যায় গাছের সারিতে বেশ কিছু কাটা গাছের গুঁড়ি রয়েছে । আবার এক জায়গায় দেখা যায়, বেশ কিছু গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। কিছু কাটা গাছ এবরো -থেবরো ভাবে সড়কের পাশেই পড়ে আছে। এসময় স্হানীয়রা এ প্রতিবেদকে জানান এ কাজে এলাকার মেম্বার জড়িত।
তাদের মদদেই ছাড়া সরকারি গাছ কাটার সাহস অন্য কারো নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এসব এলাকাবাসীর অভিযোগ এইতো গত সপ্তাহে স্হানীয় মেম্বারের লোকজন বেশ কিছু গাছ কেটে নেয়ার সময় এলাকাবাসীর বাধা পেয়ে কর্তনকৃত এ গাছগুলো ফেলে চলে যান।
বিষয়টা স্বীকার করে স্হানীয় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মোনাফ বলেন, গাছ কাটার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে ফোন পেয়ে আমি বিষয়টি জানতে পারি। তাৎক্ষণিক আমি ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার ও গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে গাছ কাটা বন্ধ করি। তবে আমি জানার আগেই বেশ কিছু গাছ কেটে ফেলেন তারা । কাটা কিছু গাছ আমার জিম্মায় রয়েছে। এখন ইউএনও স্যারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
স্হানীয় ইউ পি সদস্য সাদেক হোসেন এলাকাবাসীর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন চেয়ারম্যান ও সচিবের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে তারা আমাকে ফাঁসানোর কু-মতলবে এসব রটাচ্ছেন। আসলে এসব গাছ কাটার ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা, কারা কাটছে আমি জানি না, আপনার এলাকায় সরকারি গাছ কাটছে আপনি জানেন না তা কি করে হয়, এমন প্রশ্নে থমকে যান তিনি।
বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউ এন ও) মোহাম্মদ মামুন বলেন সরকারি রাস্তার পাশ থেকে গাছ কাটার কোনো সুযোগ নেই । আমি খোঁজ নিচ্ছি ঘটনা যদি সত্যি হয়ে থাকে তবে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।