তীব্র দাবদাহের মধ্যেও বরিশালের আওয়ামী ঘরানার রাজনীতিতে হাওয়া বদলে স্বস্তি ফিরে এসেছে। দীর্ঘ দিন পরে হলেও জেলা, মহানগর ও উপজেলা পর্যায়ের পরিক্ষীত ও বঞ্চিত নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রানচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।
পবিত্র মাহে রমজানে সিয়াম সাধনার ও প্রাকৃতিক খরতাপে বরিশালবাসী যখন দিশেহারা ঠিক সেই মুহুর্তেই দুটি উৎসব বরিশাল বাসীর জন্য আর্শীবাদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বমুসলিম উম্মাহ একটি মাস সিয়াম সাধনার পর একটি উৎসবের দিন হাতে পায়। আর ২য় টি হলো বরিশালের আওয়ামী রাজনীতিতে স্বত্বির বাতাস।
শুধু তাই নয় বরিশালের সকল নগরবাসী ও সাধারন জনগণ সর্বক্ষেত্রেই যেন উৎফুল্ল। সেক্ষেত্রে অটোচালক, রিকশা চালক, শ্রমিক ও খেটে খাওয়া মানুষতো বটেই। বরিশাল নগর বাসীর বিভিন্ন পর্যায়ে জনমতে এমনটাই উঠে এসেছে। পাশাপাশি আরও জানাগেছে বরিশালে আওয়ামীলীগের রাজনীতিকে কুক্ষিগত করে রাখা হয়েছিল। কারও মতপ্রকাশের তেমন কোন জায়গা ছিল না।
সেক্ষেত্রে অবশ্য বিশেষ কাউকে দায়ী করা যায় না কারণ কিছু চাটুকার ও দালাল প্রকৃতির লোকছিল যাদের কারণে সাধারন নেতাকর্মী দীর্ঘদিন বঞ্চিত থেকে যায়। বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত) কে মনোনীত করায় শুধু আওয়ামী ঘরানার লোকই নয় সাধারন জনগনের মধ্যেও বেশ উৎসবের আমেজ দেখা গেছে। জনগনের দাবী একটি সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ সৃষ্টি করা হলে নগরবাসীও এ সম্মানীত পদটি তাদের প্রানের মানুষটি কে উপহার দিতে কার্পন্য করবেন না।
আজকের এ লেখাটি বিশেষ কাউকে দায়ী করার জন্য নয়, শুধু জনগনের মত প্রকাশের জায়গা তৈরী করা। এক্ষেত্রে কথা হয় বরিশাল মহানগর যুবলীগ নেতা আহসান উল্লাহ মাইনুল, যুবলীগ নেতা এ্যাড. মাইনুদ্দিন, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম, অটোচালক মিরাজসহ খেটে খাওয়া মানুষদের সাথে। সর্বত্রই একই রকম বক্তব্য পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে বরিশাল মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ—সভাপতি এ্যাড. আফজালুল করিম বলেন দীর্ঘ দিন পরে হলেও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বরিশালবাসী এবং কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছেন।
একই সাথে আশা আকাংখা ও প্রত্যাশা পুরণে আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত) কে বিপুল ভোটের মাধ্যমে মেয়র নির্বাচিত করার আহবান জানিয়েছেন বরিশাল নগরবাসীর প্রতি।।