গত ১৩ জুন ১৯৯৯ খ্রি. তারিখ চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি থানাধীন দৌলতপুর এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে নিজ স্ত্রীকে হত্যা করে মোঃ তোফায়েল আহমেদ। উক্ত হত্যার ঘটনায় গত ১৩ জুন ১৯৯৯খ্রি. তারিখ নিহত ভিকটিমের ভাই মোঃ জহুরুল ইসলাম বাদী হয়ে নিহত ভিকটিমের স্বামী মোঃ তোফয়েল আহমেদ’কে আসামী করে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যার নং-০৬(০৬)১৯৯৯; তারিখ- ১৩/০৬/১৯৯৯ ধারা- ৩০২; পেনাল কোড- ১৮৬০।
মামলা পরবর্তী সময়ে উক্ত হত্যা কান্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান আসামী মোঃ তোফায়েল আহমেদ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার হন। জামিনে মুক্তি নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে কোন হাজিরা না দিয়ে পলাতক হয়ে যান আসামী মোঃ তোফায়েল আহমেদ। পলাতক থাকা অবস্থায় বিজ্ঞ আদালত আসামী মোঃ তোফায়েল আহমেদ এর নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারী করেন।
পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে নিহত ভিকটিমের স্বামী তোফায়েল আহমেদ’কে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন এবং গত ২০১৬ সালে মামলাটি বিচারের জন্য চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। এরই প্রেক্ষিতে গত ০৮ মে ২০২৩খ্রি. তারিখ জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত, চট্টগ্রাম উক্ত মামলার ১২ জন সাক্ষীর মধ্যে ০৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযুক্ত মামলার আসামী তোফায়েল আহমেদ’কে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ছাড়াও বিজ্ঞ আদালত আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ডে দন্ডিত করেন।
বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক রায় ঘোষনার পর উক্ত হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রাপ্ত একমাত্র পলাতক আসামী মোঃ তোফায়েল আহমেদ’কে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোয়েন্দা নজরদারী এবং তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার অব্যহত রাখে। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম একটি বিশেষ সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, উক্ত হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত যাবজ্জীবন কারাদন্ড গ্রাপ্ত একমাত্র আসামী মোঃ তোফায়েল আহমেদ দীর্ঘদিন বিভিন্ন জায়গায় পলাতক থাকার পর বর্তমানে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থানাধীন বাবুনগর এলাকায় নিজ বাসা বাড়িতে অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল অদ্য ১৪ মে ২০২৩খ্রি. তারিখ আনুমানিক রাত ০২৩০ ঘটিকায় উল্লেখিত জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ তোফায়েল আহমেদ , পিতা- মৃত নুরুজ্জামান, সাং-বাবু নগর, থানা- ফটিকছড়ি, জেলা- চট্টগ্রামকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সামনে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে তার নিজ স্ত্রীকে হত্যা করার কথা অকপটে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা নিষেধ