ময়মনসিংহে তিয়েনশি বাংলাদেশের ময়মনসিংহ বিভাগে কর্মরত ৩ হাজার সদস্য নিয়ে বিভাগীয় উদ্যোক্তা মিলনমেলা ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ মিলনমেলায় প্রধান অতিথি ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ ইকরামুল হক টিটুর উপস্থিতিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, এ কোম্পানির সাউথ এশিয়া’র জেনারেল ম্যানেজার মিস্টার চালস লি তিয়েন্স গ্রুপ, এনডি ওয়াং ম্যানেজিং ডিরেক্টর তিয়েনশি (বাংলাদেশ )কোম্পানি লিমিটেড। ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের ২৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইঞ্জিনিয়ার মনোয়ার হোসেন বিপ্লব, তিয়েনশি (বাংলাদেশ) কোম্পানি লিমিটেড
গোল্ড লায়ন হুমায়ুন কবির সবুজ,প্রোগ্রাম বাস্তবায়নে ছিলেন তিয়েনশি (বাংলাদেশ) কোম্পানি লিমিটেড ব্রোঞ্জ লায়ন কাউসার আহমেদ, তিয়েনশি (বাংলাদেশ) কোম্পানি লিমিটেড এইট স্টার ছফিউল্লাহ ফাহাদ,হাফিজুর রহমান হৃদয়।
মিলনমেলায় প্রোডাক্টের গুনাগুন কার্যকারিতা ও বাংলাদেশেরর বেকারত্ব দুরীকরন নিয়ে আলোচনা হয়। জানা যায়, তিয়েনশি বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড তিয়েন্স গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
তিয়েন্স গ্রুপ ১৯৯৫ সালে সর্বপ্রথম চিনে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৭ সালে বিশ্ব বাজারে একটি সুস্বাস্থ্যকর বিশ্ব উপহার দেওয়ার প্রত্যয় নিয়ে “প্রতিকারের চেয়েও প্রতিরোধ শ্রেয়” এই স্লোগান নিয়ে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে পৃথিবীর ১৯০ টিরও বেশী দেশে প্রতিষ্ঠানটি তার কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় ২০০৫ সালে বাংলাদেশে তার কার্যক্রম শুরু হয়। দীর্ঘ ১৮ বছর তিয়েনশি বাংলাদেশ কো: লি: অত্যন্ত সুনাম ও সফলতার সাথে বাংলাদেশে প্রায় ১০ লক্ষাধিক মানুষের সুস্থতা ও জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।
তিয়েনশি বাংলাদেশ কো: লি: মানবদেহের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় স্বাস্থ্যকর খাদ্য পরিপূরক পণ্য, প্রাকৃতিক কসমেটিক্স পণ্য ও স্বাস্থ্যকর ইকুইপমেন্ট পন্য বাজারজাত করে থাকে । পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কোম্পানির নিজস্ব ফ্যাক্টরি রয়েছে।
ঐতিহ্যবাহী ৫০০০ বছরের চাইনিজ চিকিৎসা নীতি কে অনুসরণ করে এই পণ্যগুলো তৈরি করা হয়েছে।যেগুলো ইতিমধ্যে GMP, ISO, SSOP, HALAL সার্টিফিকেট সহ পৃথিবীর উন্নত অনেক কোয়ালিটি সার্টিফিকেট অর্জন করেছে। বাংলাদেশে এই কোম্পানির ২টি কর্পোরেট ব্রাঞ্চ অফিস রয়েছে।
ঢাকা গুলশান, চট্টগ্রাম। যে ব্রাঞ্চ গুলো চাইনিজ ম্যানেজমেন্ট দ্বারা পরিচালিত। এছাড়াও বর্তমানে টিয়েন্স গ্রুপের এশিয়া প্যাসিপিক রিজিওনের প্রধান কার্যালয় হিসেবে বাংলাদেশকে নির্ধারণ করা হয়েছে। টিয়েন্স গ্রুপের লক্ষ্য বাংলাদেশে ইন্ডাস্ট্রি স্থাপন করা এবং বাংলাদেশ সরকারের স্লোগানের সাথে তাল মিলিয়ে বেকার মুক্ত বাংলাদেশ গঠনে কাজ করা।
এছাড়াও এদেশে সুস্বাস্থ্যকর সমাজ ও পরিবার গঠনে কাজ করা। ইতিমধ্যে প্রায় লক্ষাধিক যুবক এই প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করে তাদের ভাগ্য উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে । টিয়েন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান Dr. Lijinyuan তিনি অত্যন্ত সফল একজন উদ্যোক্তা হিসেবে সারা পৃথিবীতে খ্যাতি লাভ করেছেন।
বাংলাদেশের সাবেক সফল মহামান্য রাষ্ট্রপতির সাথে টিয়েন্স গ্রুপের চেয়ারম্যানের মিটিং অনুষ্ঠিত হয় যেখানে তিনি বাংলাদেশের অর্থ ও সামাজিক উন্নয়নে তার উদ্যোগের কথা তোলে ধরেন এবং আমাদের মহামান্য রাষ্ট্রপতি তার প্রশংসা করেন এবং তাকে একটা প্রশংসা পত্র প্রদান করেন। ইতিমধ্যে টিয়েন্স গ্রুপ জাতিসংঘ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, নাসার প্রশংসা পত্র লাভ করেছেন। টিয়েন্স গ্রুপের রয়েছে হসপিটাল, হোটেল বিজনেস, স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি, অত্যাধুনিক কনফারেন্স সেন্টার, টিয়েন্স যাদুঘর, টিয়েন্স গবেষণা ইনস্টিটিউশন।