ফেনীর দাগনভূঞা পৌর শহরে গরুর মাংস বিক্রয়ের স্থানে রাতে কুকুরের দখলে। অনেকগুলো কুকুর এ মাংস বিক্রয়ের স্থানে হাঁটাহাঁটি ও গুমানোর দৃশ্য প্রতিনিয়ত দেখা যায়। এতে পৌর মেয়র গরু বিক্রয়ের স্থানকে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ও নিরাপত্তার বিষয়টি বারবার বললেও তোয়াক্কা করেননি গরুর মাংস বিক্রেতারা। এ নিয়ে পশু মাংস ক্রেতারা রীতিমত হতবাক।
সরেজমিন ও স্থানীয় ব্যবসায়ী সূত্রে জানা যায়, দাগনভূঞা চৌধুরিহাট রোড়ে দীর্ঘ বছর যাবত মাংস বাজার অপরিচ্ছন্ন ও রাতে কুকুরের দখলে রয়েছে। মাংস বিক্রয়ের একটু পাশেই পশু জবাইখানা। চৌধুরিহাট রোড়ের পাশে মাংস বাজারে দিনে ব্যবস্যা করলেও উন্মুক্ত স্থান হওয়ায় রাতে দখলে থাকে কুকুরদের। রাত আটটার পরে মাংস বিক্রয়ের টেবিলে কুকুরের আনাগোনা ও শুয়ে থাকতে দেখা যায়। পরেরদিন একই স্থানে গরুর মাংস বিক্রয় করা হয়। প্রতিদিন গড়ে তিন চারটি গরু জবাই ও মাংস বিক্রয় করা হয়।
মাংস ক্রেতা আলমগীর জানান, কুকুর জলাতঙ্ক রোগের অন্যতম প্রাণী। যেখানে মাংশের ঘ্রাণ পেয়ে লালা কিংবা কুকুরের আনাগোনা ও কুকুর ঘুমায় সেখানে কতটুকু জীবানু টেবিলে কিংবা মাংসে ছড়াচ্ছে তা আপনারাই বলুন। অথচ এ মাংস আমরা অন্ধবিশ্বাসের মত ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছি এবং খাচ্ছি।
দাগনভূঞা মাংস ব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ কালাম জানান, আমরা আমাদের বিক্রয়ের স্থানকে নেটের আওতায় রেখেছি কিন্ত কয়েকজন সে কাজটি এখনো করেননি যার কারণে কুকুর সেদিক দিয়ে ডুকে পড়ে। আমরা এ বিষয়ে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করবো যেন কুকুর গমন না করতে পারে।
বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সেক্রেটারি ইফতেখার শিবলু জানান, মাংস বিক্রয়ের স্থানকে নিরাপদ রাখার স্বার্থে পৌর মেয়রসহ আমরা অনেকবার বলেছি তারা কর্ণপাত করেননি। দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থাসহ নেটের আওতায় আনা হবে।
এ বিষয়ে পৌর মেয়র ওমর ফারুক খাঁন জানান, অনেবার মাংস বিক্রতাদের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ও বিক্রয়ের স্থানকে নিরাপদ বেষ্টনি দেয়ার কথা বললেও তারা শুনেননি। ক্রেতাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়টি কেন নিশ্চিত করেননি এবং নিয়ম অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা নিষেধ