”আর নয় বাল্যবিয়ে,এগিয়ে যাব স্বঁপ্ন নিয়ে”এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ ও বিধিমালা ২০১৮ অবহিতকরণ পর্যালোচনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার সকাল ১১টায় সুনামগঞ্জ জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, কানাডা ইন্টারন্যাশনাল এফ আই ভি ডি”র যৌথ আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
সুনামগঞ্জ জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এ জে এম রেজাউল আলমের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন,সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) শেখ মুহিউদ্দিন।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন,সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুচিত্রা রায়,এনজিও সংস্থা এফ আই ভিডিবি”র বিভাগীয় ব্যবস্থাপক নজরুল ইসলাম মনজুর,এফ আই ভি ডিব”র বিভাগীয় সমন্বয়কারী জাহেদ আহমদ, চাইল্ড প্রোটেকশন স্প্রেশালিষ্ট সুমনা চৌধুরী, রিপোর্টার্স ইউনিটির একাংশের সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু, সুনামগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ও মোহনা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি কুলেন্দু শেখর দাস,রিপোর্টার্স ইউনিটির অপর অংশের সভাপতি ও আর টিভির প্রতিনিধি বিন্দু আহমদ প্রমুখ। এছাড়াও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্র মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ও সমাজের বর্তমান ব্যবস্থাপনা দারিদ্রতা বাল্যবিবাহের প্রবনতা রোধে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) শেখ মুহিউদ্দিন বলেছেন, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ ও বিধিমালা ২০১৮ এর কার্যকর যথাযথ ভূমিকা পালনে গণমাধ্যমের ভূমিকার বিকল্প নেই।
তিনি বলেন বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীদের ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি এবং নারীপূরুষ সবার জন্য সমান আইন বাস্তবায়নে একেবারেই গ্রাম পর্যায়ে প্রতিটি মানুষের হাতে স্মার্টফোন তুলে দিয়েছেন সকলকে সচেতন হওয়ার জন্য বিশ^কে জানার জন্য। তবে ১৮ বয়সের নীচে কোন যুবক যুবতীকে যাতে করে বাল্যবিবাহে আবদ্ধ হতে না পরেন সেজন্য আইনে বলা হয়েছে কেহ পূর্ণপ্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবেন না।
এজন্য কাজিগণ বিবাহ পড়ানোর আগে তাদের এন আই ডি কার্ড যাছাই বাছাই করা এবং কোন অপ্রাপ্ত বয়স্ক যুবক যুবতীদের ইউনিয়ন লেবেলে কোন জনপ্রতিনিধি ইউপি চেয়ারম্যন কিংবা ইউপি সদস্যরা জন্মনিবন্ধন দিতে হলে অধিক যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে সঠিক জন্মনিবন্ধন প্রদানের আহবান জানান। পাশাপাশি প্রতিটি সচেতন নাগরিক যে যার অবস্থান থেকে একেবারেই তৃণমূল গ্রাম পর্যায়ে সাধারন মানুষের মাঝে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করার আহবান জানান।
তিনি আরো বলেন কোন অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোর কিশোরীকে কোন কাজি অফিসের কাজি কিংবা জনপ্রতিনিধিরা প্রচলিত আইনের ব্যর্থয় ঘটিয়ে কিংবা প্ররোচিত হয়ে বিয়ে পড়ানো কিংবা জন্ম-নিবন্ধন প্রদান করেন তা হবে দন্ডনীয় অপরাধ এবং তাদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের মাধ্যমে জেল জরিমানা ভোগ করারও হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) শেখ মুহিউদ্দিন।