টেন্ডার ছাড়াই আদ্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ ও পুরাতন ভবনের প্রায় লক্ষাধিক টাকার মালামাল বিক্রির অভিযোগ উঠেছে প্রধানশিক্ষিকা শাহিনা পারভীনের বিরুদ্ধে।
জামালপুরের মেলান্দহে সরকারের নিয়মনীতিকে উপক্ষো করে টেন্ডার কিংবা প্রকাশ্য নিলাম ডাক ছাড়াই উপজেলার ৪০ নং আদ্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনের মালামাল যেমন এ্যাংগল,রড়,টিন,দরজা,জনালা,বই- খাতা,গাছ,গাছ ও গাছের বড় বড় ডাল ইত্যাদি
বিক্রি করে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে অত্র আদ্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহিনা পারভীন । এর কয়েক কয়েক বছর আগেও বিদ্যালয়ে দেয়া ২ টন চালের টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ হলে স্থাণীয়ভাবে হাত- পা ধরে অর্থ দন্ডি দিয়ে মিল হয়।
প্রতি বছরের সরকারি বরাদ্দকৃত স্লিপের টাকাতেও নয় ছয়। স্টাফদের মধ্যে অসন্তোষ, প্রধান শিক্ষিকার স্বামী খোকা চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা হওয়ায় বেপরোয়া চলা সহ নানা অভিযোগে র প্রেক্ষিতে এলাকার ৪/৫ জন সচেতন নাগরিক উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর লিখিত আবেদন করে এবং উক্ত আবেদনের অনুলিপি ডিসি,ডিডি ডিপিও,টিও, সাংবাদিক সহ বিভিন্ন মহলে দেয়।সেই
লিখিত অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি আদেশে মালামাল বিক্রি লব্দ অর্থ ৭৪ হাজার টাকা ব্যাংকে রেখে অবশিষ্ট সমদ্বয় টাকা আত্মসাৎ করেছে অভিযোগ কারি গন বলে জানা যায়।
মেলান্দহ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম খান বলেন – বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম মিঞা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার আদ্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহিনা পারভীন নিজ খেয়াল খুশি মতো গাইড ওয়ালার কাছ থেকে ৭/৮ হাজার টাকা নিয়ে শিক্ষার্থীদের গাইড বুক নির্ধারন করে দেয়, সেই ৭/৮ হাজার টাকা একাই ভোগ করেন এবং বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনের ভেতর থেকে বের হওয়া পুরাতন ইট,রড়,এ্যাংগল, বেঞ্চ,টেবিল- চেয়ার,ফ্যান, টিনসহ অন্যান্য মালামাল বিক্রিসহ আত্মসাত করছেন। এতে করে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওই বিদ্যালয়।
মামলামালের মধ্যে থেকে কিছু মালামাল প্রধান শিক্ষিকা নিজ বাড়ীতে নিয়ে গেছেন। এমন অভিযোগ শুধু স্থানীয়দেররই নয়, সংশ্লিষ্ট স্কুলের কতিপয় সদস্য ও শিক্ষকরএই অভিযোগ তুলেছেন। তবে প্রধান শিক্ষকের চাপের কারণে তারা প্রকাশ্যে মুখ খুলতে পারছেন না।
বিদ্যালয়ের সভাপতি- আব্দুল মমিন বলেন- প্রধান শিক্ষিকা আমাকে না জানিয়ে এসব করেছে তাই তাকেই এর দায় -ভার নিতে হবে এবং আমি এই সমস্ত অপকর্মের বিচার আমি চাই।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা শাহিনা পারভীন বলেন – আমি উপরেরউল্লেখিত কোন কাজ করি নাই তবে- ব্যাংকে টাকা রাখা,গাছের ডাল কাটা, বই- খাতা,লোহাভাংড়ি বিক্রি সভাপতি- ও স্টাফদের জানিয়েই করেছি।
প্রধান শিক্ষিকার চাকুরির শেষে এসে এমন অনিয়ম, দুর্নীতি ও সমালোচনার কাজে জড়িয়ে নিজের কেরিয়ার নষ্ট করেছেন বলে সুধী মহলের ধারণা।তার খামখেয়ালি কাজের জন্য যেমন বিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট হচ্ছে, তেমনি নিজের স্টাফদের মধ্যে তুষেরআগুন আরো বৃদ্ধি করে এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।