হিজলাগৌরবদী ইউনিয়নের কাকুরিয়া বাজার ব্যবসায়ী মোঃ মোসলেহ উদ্দীন (মন্টু মাঝির) দোকানে ঢুকে ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন বেপারী (দফাদার) ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী তান্ডব চালিয়েছে । আহত মন্টু হাসপাতালে, থানায় অভিযোগ।
হামলা কারীরা দোকান মালিক মন্টু মাঝিকে এমপি এবং হিজলা থানা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদকের লোক দাবি করে মন্টু মাঝির দোকানে ঢুকে হামলা চালিয়ে আহত করে, হত্যা চেষ্টা করে , নগদ অর্থ সহ দোকান লুট করে নির্বিগ্নে চলে যায় আলাউদ্দিন দফাদার ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা।
আহত মন্টু মাঝি জানান ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন বেপারী, ২. ছালাল বেপারী, উভয়ের পিতা- শাশছু বেপারী, ৩. মাসুদ রানা আব্বাস বেপারী, ৪. মোঃ সুজন বেপারী, উভয়ের পিতা- আলাউদ্দিন বেপারী, ৫. ছালেম বেপারী, পিতা- কালাম বেপারী, ৬. বাকের আকন, ৭. জামাল আকন উভয়ের পিতা- ইয়াছিন এয়াসিন আকন, ৮. রাশেদ বেপারী, পিতা- আমির হোসেন বেপারী, ৯. জামাল হাওলাদার, পিতা- মজিবল হক হাং সহ অজ্ঞাত নামা আরও ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী, ৭জুন বুধবার রাত সাড়ে সাত টার সময় তার দোকানে ডুকে হামলা করে তাকে আহত করে, নগদ টাকা লুট করে। আহত মন্টু মাঝি হিজলা হাসপাতালে ভর্তি আছেন। মন্টু মাঝির একটি সম্পত্তি নিয়ে এ বিরোধ বলে দাবি করেন তিনি।
উদ্ধারকারি জসিম মাঝি জানান, অচেতন অবস্থায় মন্টু মাঝিকে কাকুরিয়া বাজার থেকে উদ্ধার করে হিজলা স্বাস্থ্যকম্প্লেক্স এ ভর্তি করা হয়। দফাদার আলাউদ্দিন গ্রুপটি এলাকায় খুবই ভয়ংঙ্কর। এরা না পারে এমন কোন কাজ নেই। চরদখল, জমি দখল, গরুচুরি, ডাকাতি প্রতিটিতেই তারা পাকা। যে কারণে স্থানীয়রা তটস্থ থাকেন বলে দাবি তার।
মন্টু মাঝির দাবি সন্ত্রাসী গ্রুপটি দির্ঘদিন যাবত হিজলা গৌরব্দী ইউনিয়নের কয়েকশত একর জমি জোর দখলে রেখেছে। মুল মালিকদের ক্ষমতার দাপটে দুরে সরিয়ে রাখছেন আলাউদ্দিন গ্রুপ। ঐ জমি নিয়ে তার সাথে কথা বলার একপর্যায় এমপি এবং বড়জালিয়া ইউপি চেয়াম্যানকে উদ্দেশ্য করে খারাপ মন্তব্য করতে গেলে পতিবাদ করেন তিনি। নিজের কেনা একএটি জমি বিগত ১৫ বছর যাবৎ জোর দখল করে ভোগ করে আলাউদ্দিন বেপারী ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। এই জোর দখলের জের ধরে দোকানে হামলা করা হয়। আলাউদ্দিন একসময় বিএনপির নেতা ছিলেন। আলীগের সুদিনে এসে তিনি এখন হিজলাগৌরব্দীর প্রভাবশালী নেতা। তিনি দলীয় এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কাকুরিয়া বাজারে বাংলাদেশ কোষ্টগার্ডের উপর হামলা চালায়। দল এবং প্রভাবের কারণে সে যাত্রা রক্ষা পান। বিষয়টি তৎকালিন সময় চাঞ্চলের সৃষ্টি হলেও অদৃশ্য কারণে স্থিমিত হয়ে যায়। নৌপুলিশের উপর হামলার বিষয়টিও তার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় বলে এলাকাবাসির দাবি। পুরো চর এবং চরের বেড়জাল তার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। প্রশাসন জেনেও নাজানার ভান করছে বলে তাদের দাবি।
স্থানিয় সূত্র জানায় সন্ধ্যার পর বিদ্যুৎ চলে গেলে, রাতের অন্ধকারে মন্টু মাঝিকে হত্যা করতে চেয়েছে আলাউদ্দিন গং। বাজারের অন্যান্য লোকজন জড়ো হলে সবাইকে ভয়ভীতি দেখিয়ে, তাকে আহত অবস্থায় ফেলেরেখে যায়। পরে স্থানিয়রা উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।
এবিষয়ে আলাউদ্দিন বেপারীর সাথে যোগাযোগ করা হলে, তাকে ফোনে পাওয়া যানি।
ওসি হিজলা থানা জানান, এবিষয় অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত চলছে।