বাকেরগঞ্জ ১১নং ভরপাশা ইউনিয়নে মোস্তফা শিকদারের গোয়াল ঘরে প্রবেশ করেছিলো মোনাসেফ শিকদারের একটি গরু। সন্ধ্যার দিকে বিষয়টি নজরে আসলে গোয়াল ঘরমালিকের নাতি ওই গরুটিকে বের করে দেয়। সামান্য এই বিয়য়টি রুপ নেয় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে। কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে অন্তত ৬ জন কে।
আশংকা জনক হওয়ায় বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসকরা ৬ জনকেই বরিশাল শে বা চি ম হাসপাতালে প্রেরন (রেফার) করেন। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় ভর্তির একদিন পরই শে বা চি ম হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকরা আহত ৬ জনকে মঙ্গলবার রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরন করেছেন।
এদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন। তবে একাধিক সুত্র জানিয়েছে গোয়াল ঘরে গরু প্রবেশের বিষয়টিকে ইস্যু হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে। মূলত পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই সুযোগ বুঝে পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালানো হয়েছে। রোববার রাতে বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১১ নং ভরপাশা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের কৃষ্ণকাঠি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে ঘটনা বিচার ও আসামীদের গ্রেফতার দাবী করে বরিশাল র্যাব-৮ অধিনায়ক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে আহতদের পক্ষ থেকে।
এ ঘটনায় বাকেরগঞ্জ থানায় হামলাকারী ১০ জন নামধারী ও অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামী করে সোমবার একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে হাজির করা হলে বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার বাদী মোস্তফা সিকদার বলেন (এজাহারে উল্লেখিত) বিবাদীদের সাথে দীর্ঘ বছর ধরে জমিজমা নিয়ে তাদে সাথে বিরোধ চলে আসছিলো।
দুস্কৃতিকারিদের দিষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে আহাতদের স্বজনরা ।