আসন্ন ঈদুল আযহার ঈদযাত্রায় যাতায়াতে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি কমাতে আসন্ন ঈদুল আযহার যাত্রী পরিসেবার বহরে ফিটনেসবিহীন লক্কড়-ঝক্কড় যানবাহন চলাচল বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। আজ বুধবার ২১ জুন গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী এই দাবী জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, দেশে গণপরিবহন সংকটের সুযোগ কাজে লাগিয়ে, একসাথে লাখো যাত্রী ঈদযাত্রার বহরে পথে নামার সুযোগ লুফে নিতে কতিপয় অসাধু পরিবহন মালিকেরা প্রতিবছর ঈদে ফিটনেসবিহীন বাস ও লঞ্চ রং চং করে রাস্তায় নামায়। এসব যানবাহন মাঝপথে দুর্ঘটনায় পতিত হলে অসংখ্য মানুষের প্রাণহানি ঘটে। পথে দীর্ঘ যানজটের ভোগান্তি তৈরি হয়।
এছাড়াও অতিরিক্ত মুনাফার লোভে একজন চালককে বিশ্রামহীনভাবে ১০/১২ ঘন্টা ১৫ ঘন্টা বিরামহীনভাবে যানবাহন চালাতে বাধ্য করার কারনে এবং অদক্ষ চালক দিয়ে আনফিট যানবাহন চালানোর কারনে সড়ক ও নৌ দুর্ঘটনায় প্রতি বছর ঈদে কয়েকশ যাত্রীর প্রাণহানী ঘটে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণ মতে ২০২২ সালে ঈদুল আযহায় ৩১৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৯৮ জন নিহত ৭৭৪ জন আহত হয়েছিল। এবারো ঈদযাত্রার বহরে মোটরসাইকেল যুক্ত থাকায় সড়ক দুর্ঘটনা ভয়াবহ হারে বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সর্তক করেন সংগঠনটি।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, কিছু অতি লোভী পরিবহন মালিকেরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য চালাতে মড়িয়া হয়ে উঠেছে। তিনি আরো বলেন, ভাড়া নৈরাজ্যকারীদের বিরুদ্ধে সরকার প্রতিবছর ঈদে কাগুজে বাঘের মতো হুশিয়ারী উচ্চারণ করলেও দৃষ্টান্তমূলক কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থতার কারনে এবারের ঈদেও সকল পথে দ্বিগুণ-তিনগুণ অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য হতে পারে। এহেন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।
অতিরিক্ত যাত্রী ও বেশি ভাড়া আদায়ের লোভে প্রতিবছর সড়ক ও নৌ-পথে ফিটনেসবিহীন যানবাহনে যাত্রী বহন, পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রী বহন, নৌ পথে পর্যাপ্ত বয়া-বাতি ও জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম না থাকায় দূর্যোগপূর্ণ নৌ মৌসুমে নৌ-পথের যাত্রীরা ভয়াবহ ঝুঁকিতে রয়েছে। লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝায় বন্ধে কঠোর নজরদারী রাখার দাবী জানান তিনি। এছাড়াও আনফিট ও ঝুঁকিপূর্ণ নৌযান চলাচল বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানানো হয় বিবৃতিতে।