অনুসন্ধানে জানা যায় এই অপশক্তির মূল হোতা হলেন প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তার হাওলাদার এর ছোট ভাই সাবেক ঢাকা বার কাউন্সিলের আইনজীবী ও বর্তমান বরগুনা বার কাউন্সিলের এ্যাডভোকেট এইচ এম মনিরুল ইসলামের সাথে আ.লীগের মনোনয়ন যুদ্ধে হেরে যাওয়া বরগুনা জেলার আমতলী থানার গুলিশাখালী ইউনিয়নের রাজাকার পুত্র হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম //
পিরোজপুর জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী (এলজিইডি)আবদুস সাত্তার হাওলাদার পিরোজপুরে যোগদান করার পর থেকেই তার উপর অর্পিত দায়িত্ব তিনি সৎ নিষ্ঠাবান ও কর্তব্য পরায়নের সাথেই পালন করে আসছে। যা পিরোজপুর এলজিইডির একাধিক ঠিকাদারের সাথে আলাপ আলোচনা করে জানা যায়।
গত ৬ই জুন দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকায় নির্বাহী প্রকৌশলী (এলজিইডি) আব্দুস সাত্তার এর নামে “দরপত্রের দর জানিয়ে কমিশন নেন তিনি”এই হেডলাইন দিয়ে একটি মিথ্যা বানোয়াট নিউজ ছাপা হয় ।
উক্ত নিউজটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে দাবি করেছেন পিরোজপুর এলজিইডি অফিসের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী তারা নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে বলেন আমরা জানি আমাদের এই অফিসের নির্বাহী স্যার একজন সৎ ও আদর্শবান মানুষ।
এইরকম একটি বানোয়াট মিথ্যা নিউজ কারা কিজন্যে করেছেন তা আমরা বলতে পারি না। তবে এমন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন নিউজ এর আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
পিরোজপুরের এলজিইডির স্থানীয় একাধিক ঠিকাদার এর কাছে দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকায় ৬ই জুন আব্দুস সাত্তার এর বিরুদ্ধে যে ভিত্তিহীন নিউজ ছাপা হয়েছে তার সম্পর্কে জানতে চাইলে তারাও জানান আবদুস সাত্তার পিরোজপুরে যোগদান করার পর থেকে পিরোজপুরের স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের সকল উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড আগের চেয়েও অনেক বেগবান হয়েছে। কাজের মান তুলনা মূলকভাবে পূর্বের চেয়ে অনেক উন্নতি হয়েছে। তারা আরো বলেন নির্বাহী প্রকৌশলী (এলজিইডি) সততা ও দায়িত্ববান হওয়ার কারণে আমাদের কাজ করতে কোন বেক পেতে হয় না। পিরোজপুরের স্থানীয় ঠিকাদাররা দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার ৬ই জুন প্রকাশিত “দরপত্রের দর জানিয়ে কমিশন নেন তিনি” এই হেডলাইন দিয়ে যে মিথ্যা সংবাদ ছাপা হয়েছে নির্বাহী প্রকৌশলী এলজিইডি পিরোজপুরের বিরুদ্ধে তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
আবদুস সাত্তার পিরোজপুর জেলায় নির্বাহী প্রকৌশলী (এলজিইডি) যোগদানের পূর্বে তার কর্মস্থান ছিল পটুয়াখালী জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী (এলজিইডি) তাই আবদুস সাত্তার এর পটুয়াখালী জেলার কার্যক্রম অনুসন্ধানের জন্য পটুয়াখালী স্থানীয় ঠিকাদার ও অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের কাছে জানতে চাইলে তারাও বলেন তিনি পটুয়াখালী থাকাকালীন অবস্থায় স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের সকল কার্যক্রম দুর্নীতি মুক্তভাবে পরিচালিত করেছেন। দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকায় পটুয়াখালী জেলায় আবদুস সাত্তারের কার্যক্রমের যে অনিয়মের কথা বলা হয়েছে সে সম্পর্কে জানতে চাইলে ঠিকাদার ও অফিসের লোকজন সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন এবং বলেন এই সব সংবাদ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তারাও সকলে দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার নিউজের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের দাবি করেন।
নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুস সাত্তারের বিরুদ্ধে কেন এই নিউজ ছাপা হলো তার অনুসন্ধান করতে গেলে বেরিয়ে আসে স্থানীয় ইউপি নির্বাচন। জানা যায় নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুস সাত্তারের আপন ছোট ভাই গুলিশাখালি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট এইচ এম মনিরুল ইসলামের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন।
সম্প্রতি গুলিশাখালী ইউনিয়ন পরিষধ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে নৌকার প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পান এ্যাডভোকেট এইচ এম মনিরুল ইসলাম।স্থানীয় সূত্রে জানা যায় এডভোকেট এইচ এম মনিরুল ইসলাম একজন সৎ আদর্শবান সফল আইনজীবী। তিনি তার আইন পেশার সাথে সাথে আরো কিছু ব্যবসা-বাণিজ্য করে আর্থিকভাবে ও স্বাবলম্বী।
তার বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ক্রয় করেছিলেন গুলিশাখালী ইউনিয়নে রাজাকার পুত্র হিসেবে সকলের পরিচিত সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম। কিন্তু আওয়ামী লীগ এর মনোনয়ন বোর্ড গুলিশাখালী ইউনিয়ন নির্বাচনে রাজাকারপুএ ও বিতর্কিত হওয়ায় নুরুল ইসলাম কে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না দেওয়ায়
পক্ষান্তরে নির্বাহী প্রকৌশলী (এলজিইডি) পিরোজপুর আবদুস সাত্তার এর ছোট ভাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম কে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আ.লীগের মনোনয়ন দেওয়ায় । ইউনিয়ন নির্বাচনের মনোনয়ন পাওয়াই যেন কাল হয়ে দাঁড়ালো আবদুস সত্তার এর পুরো পরিবারের। ইউনিয়ন নির্বাচনে মনোনয়নে পরাজিত হওয়ার পর থেকেই নুরুল ইসলাম একের পর এক মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করিয়ে আসছেন আব্দুস সাত্তার ও তার পরিবারের সকল সদস্যদের কে নিয়ে।
তারই ধারাবাহিকতায় গত ৬ই জুন দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকায় দরপত্রের দর জানিয়ে কমিশন নেন তিনি যে মিথ্যা সংবাদ সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তার মূল হোতা হিসেবে অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসছে রাজাকার পুত্র নুরুল ইসলামের নাম। শুধু সংবাদ প্রকাশ করে নুরুল ইসলাম ক্ষ্যান্ত হননি নামে বেনাম অনেক অভিযোগ করেছেন সৎ নিষ্ঠাবান ও কর্তব্য পরায়ণ অফিসার নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুস সাত্তারের নামে।
বর্তমান নবনির্বাচিত গুলিশাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তারের ছোট ভাই এ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলামের নামেও মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ সহ বিভিন্ন অভিযোগ এনেছেন আ. লীগের মনোনয়ন না পাওয়া সাবেক চেয়ারম্যান রাজাকার পুত্র নুরুল ইসলাম।আ.লীগের মনোনয়ন না পাওয়া সাবেক চেয়ারম্যান রাজাকার পুত্র নুরুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে রয়েছে অনেক অনিয়ম এর অভিযোগ।রাজাকার পুত্র নুরুল ইসলাম গুলিশাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময় টিয়ার কাবিখার চাল ও ৪০ দিনের কাজের টাকা আত্মসাৎ সহ সাধারণ নিরীহ মানুষের জমি দখল করে অবৈধ ইট বাটা তৈরি করার মত অভিযোগ পাওয়া যায়। নুরুল ইসলাম স্থানীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জমি জবর দখল করার মত ঘটনার অভিযোগ পাওয়া যায় স্থানীয়দের কাছ থেকে।
এছাড়াও তার অনুসারীরা মাদক কারবারি করতেন যার সেল্টার দিতেন রাজাকার পুত্র সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম। নুর ইসলামের সাথে ফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
গত ৬ই জুন দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকায় “দরপত্রের দর জানিয়ে কমিশন নেন তিনি “
এই সংবাদ প্রকাশের সম্পর্কে আবদুস সাত্তার নির্বাহী প্রকৌশলী (এলজিইডি) পিরোজপুরের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান এই প্রকাশিত সংবাদ সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা। তবে আমি দেখেছি আমার নাম দিয়ে দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকায় একটি সংবাদ ছাপা হয়েছে যাহা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বানোয়াট বলে দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন আমার ছোট ভাইয়ের সাথে আ.লীগের মনোনয়ন যুদ্ধে হেরে যাওয়া রাজাকার পুত্র সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম এসব মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ আমার নামে প্রকাশ করিয়েছেন এবং আমার নামে আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে নামে বেনামী অনেক অভিযোগ দিয়েছেন যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। আমি আমার দায়িত্ব পালনে শতভাগ সৎ ও নিষ্ঠাবান।আমি পিরোজপুরের পূর্বে পটুয়াখালী জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী (এলজিইডি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি সেখানে আমার অনেক সুনাম আছে এরপরে পিরোজপুর যোগদান করার পর থেকে আমি আমার স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের থেকে যে দায়িত্ব পেয়েছি তা শতভাগ সততার সাথে পালন করেছি।
আমার বিরুদ্ধে যে মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুস সাত্তার আরো বলেন আমার ছোট ভাই এ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম তিনি একজন সফল আইনজীবী, রাজনীতিবিধ তিনি বর্তমান গুলিশাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান এবং আর্থিকভাবেও আমার চেয়ে স্বাবলম্বী। তার সাথে শত্রুতা করে সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম কেন আমাকে হয়রানি করে তা আমি জানিনা।