ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার মালিগ্রামে চলন্ত এ্যাম্বুলেন্স অগ্নিকান্ডে গত শনিবার এগারোটায় একই পরিবারের ৭জন ও চলকসহ ৮ জন মারা যান। মৃত ৭জন একই পরিবারের এবং তারা সকলে বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের ফেলাননগর গ্রামের সৌদি প্রবাসী আজিজার শেখের স্ত্রী তাসলিমা ও তার দুই মেয়ে নাতি নাতনি সহ ৭জন এ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে পুড়ে ঘটনা স্থলে মারা যান।
মৃত তাসলিমা ৩ মাস আগে ব্রেনস্টক হয়ে প্যারালাইজড হয়। তাকে চিকিৎসার জন্য রোজার ঈদের ১৫ দিন পরে ঢাকায় বড় মেয়ে কোমেলা আক্তার নাসরিন এর বাসায় গিয়েছিল। তাসলিমা বেগম ৩ মাসের চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে দুই মেয়ে ও নাতি নাতনী নিয়ে ঈদ করতে এ্যাম্বুলেন্স যোগে ঢাকা থেকে নিজ বাড়িতে যাওয়ার সময় এ দূর্ঘটনায় ঘটে।
মৃত তাসলিমা বেগম বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের ফেলাননগর ও তার বড় মেয়ে কোমেলা আক্তার নাসরিন শেখর ইউনিয়নের মাইটকুমড়া গ্রামের দুই ছেলে ও এক মেয়ে এবং মেঝ মেয়ে বিউটি আলফাডাঙ্গা উপজেলার কুচিয়াগ্রামে তার এক ছেলে নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার মালিগ্রামে ব্রিজের উপরে টায়ার ব্লাস্ট হয়ে রেলিংয়ে ধাক্কা লেগে এ্যাম্বুলেন্সে আগুন লেগে ঘটনা স্থলে আগুনে দগ্ধ হয়ে গাড়ির ভেতরে ৭জন মারা যান, এবং এ্যাম্বুলেন্স চালক কে জীবিত উদ্ধার করে ফরিদপুর হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় বিকেল ৫টায় মারা যান।
মৃত ৭ ব্যক্তির লাশ তাদের বাড়িতে এনে জানাযা শেষে নিজ নিজ গ্রামের কবর স্থানে দাফন করা হয়। সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত পরিবারের স্বজনদের বাড়ি বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলা যেন শোকের মাতম নেমে এসেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ফরিদপুর জেলা শাখার উপদেষ্টা মন্ডলী সদস্য সৈয়দ শামীম রেজা সকল নিহতের রুহের মাগফেরাত কামনা করে শোকসন্তপ পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
বোয়ালমারী উপজেলা চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন মুসা মিয়া নিহত ব্যাক্তিদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন। উপজেলার পক্ষ থেকে লাশ দাফন কাফনের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের মাঝে কিছু অর্থ সহায়তা করা হবে।