ঝালকাঠির রাজাপুরে ইভটিজিং ও শ্লীলতাহানির শিকার হয়ে মাদ্রাসা ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে বরিশাল র্যাব-৮ এর সদস্যরা।
শনিবার (২৪ জুন) গোপন সংবাদের ভিতিত্তে অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামী মিজানুর রহমান ওরফে মিজান মোল্লা’কে তার নানা বাড়ী বাখেরগঞ্জ থানার নিয়ামতি এলাকা থেকে রাত সোয়া ৯ টায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব রাতেই মিজানকে রাজাপুর থানা পুলিশে সোপর্দ করেন। গ্রেপ্তারকৃত আসামির নাম মো. মিজান মোল্লা। সে উপজেলার বড়ইয়া ইউনিয়নের চল্লিশকাহনিয়া এলাকার মো. খলিল মোল্লার ছেলে।
পুলিশ জানায়, গত ১১জুন বিকালে নাসিমা বেগমের মেয়ে কেয়া মনি সহপাঠীদের সাথে উত্তমপুর বাজারে ছবি তুলতে বাড়ি ফেরার পথে মিজান তার সহযোগীদের সহায়তায় রাস্তার মধ্যে বিভিন্ন কু-প্রস্তাব দিয়ে হাত ধরে টানাটানি করিয়া শ্লীলতাহানী করে। এ ঘটনা নিয়ে ৯ম শ্রেণিতে পড়ু–য়া মাদ্রাসা ছাত্রী কেয়ামনি বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মূখীন হলে লোকলজ্জায় গত (১৩ জুন) কেয়ামনি নিজ ঘরের দ্বিতীয় তলার আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
খবরপেয়ে উপজেলার চল্লিশ কাহনিয়া এলাকায় কেয়ার ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। কেয়া মনি ঐ এলাকার মজিদ খানের মেয়ে এবং স্থানীয় চল্লিশ কাহনিয়া উত্তমপুর দাখিল মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণির ছাত্রী।
পরে প্রকৃত ঘটনা বিভিন্ন জনের মাধ্যমে জানতে পেরে গত (১৮জুন) কেয়া মনির মা নাসিমা বেগম বাদী হয়ে দুইজন অজ্ঞাত পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর- ০৭।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজাপুর থানার এসআই সঞ্জীব কুমার পাহলান জানান, মামলার প্রধান আসামী মিজান মোল্লাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
রাজাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ পুলক চন্দ্র রায় বলেন, রবিবার দুপুরে মিজানকে ঝালকাঠি আদালতে পাঠানো হয়েছে।