ঝালকাঠির সুগন্ধায় জ্বালানী তেল বহনকারী ট্যাংকার বিস্ফোরন ঘটনায় নিখোঁজ থাকা তিন ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ডুবে যাওয়া কেবিনের ভেতরে বিকেল সারে চারটায় জাহাজের সুকানি আকরাম হোসেনের মরদেহ পাওয়া যায়। এটিই ছিলো জাহাজে নিখোঁজ থাকা শেষ ব্যক্তি। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ঝালকাঠির স্টেশন কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম।
এর আগে সোমবার (২৩ জুলাই) সকাল ১১ টা এবং দুপুর ১ টায় জাহাজের মাস্টার রুহুল আমিন এবং ড্রাইভার মাসুদুর রহমান বেলালের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার ২ জুলাই বিকেলে জাহাজের ইঞ্জিন রুম থেকে ট্যংকারটির গ্রিজার মো. হৃদয় হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এনিয়ে নিখোঁজ থাকা চার জনেরই মহদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রত্যেককেই সনাক্ত করেছে তাদের স্বজনরা।
কোস্ট গার্ড বরিশাল জোনের অপারেশন কর্মকর্তা লে: কর্ণেল শাফায়েত হোসেন বলেন, ‘দুর্ঘটনার পরেরদিন ২ জুলাই বিকেলে আগুনে পোড়া জাহাজের ইঞ্জিন রুম থেকে ট্যাংকারের গ্রীজার হৃদয় হোসেনের পোড়া মরদেহ উদ্ধার করেছে কোষ্টগার্ড। বাকিদের ৩ জুলাই ডুবন্ত কেবিনের ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন সরকার বলেন, ‘উদ্ধার হওয়া সকল লাশের পরিচয় মিলেছে। ময়না তদন্ত শেষে প্রত্যেকের মরদেহ তাদের নিজ নিজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
উল্লেখ্য, পহেলা জুন শনিবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে পদ্মা অয়েল কোম্পানির জ্বালানি তেলবাহী ট্যংকার ‘ওটি সাগর নন্দিনী-২’ বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ধরে যায়। দুর্ঘটনায় জাহাজের পেছনের তিনতলা বিশিষ্ট চালকের কক্ষ ও কেবিনের অংশ উড়ে গিয়ে পানিতে নিমজ্জিত হয়। এর পর থেকে জাহাজের মাস্টার রুহুল আমিন, সুকানি আকরাম হোসেন, ড্রাইভার মাসুদুর রহমান বেলাল ও গ্রিজার মো. হৃদয় নিখোঁজ হয়। ঘটনার সময় অগ্নিদগ্ধ হয় আরো চারজন। এরা হলেন, জাহাজের কর্মচারী শাকিল হোসেন, ফরিদুল আলম, ইকবাল হোসেন এবং মাইনুল ইসলাম হৃদয়। আহতরা রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ণ এন্ড প্লাষ্টিক সার্জারী ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন।