ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ফরিদপুর-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশি ডা. গোলাম কবিরকে শর্টগানসহ পুলিশ আটক করেছে। জনসমুক্ষে আগ্নেয়াস্ত্র দেখানোর দায়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। ডা. গোলাম কবির ফরিদপুর জেলা কৃষক লীগের সহসভাপতি ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপকমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সাবেক সদস্য।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সালমা বেগম নামের এক মহিলার কাছ থেকে ডা. গোলাম কবির ভবনের একটি ফ্লাট ভাড়া নেয়। সে ফ্লাটে প্রফেসর ডা. গোলাম কবির নার্সিং ইন্সটিটিউট নামে একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে । তবে ভবন মালিক সালমা বেগমের দাবী কোন প্রকার ভাড়া বা চুক্তি ছাড়া ফ্লাট দখল করে রেখেছেন। তাকে ফ্লাট ছাড়তে বললে সে বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধামকি দেয় বলে অভিযোগ করেন।
ফ্লাট মালিকের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস নিপা জানান, বৃহস্পতিবার (০৬.০৭.২৩) ডা. গোলাম কবির আমাদের ফ্লাটের সামনে তার পার্সোনাল ব্যবহারকারী প্রাইভেটকার রাখলে তাঁকে নিষেধ করলে চটে গিয়ে আমার মার দিকে শর্টগান তাক করে গুলি করার হুমকি দেয়। পরে মা ঢাক চিৎকার দিলে আমি ও অন্যান্য ভাড়াটিরা এসে তাকে উদ্ধার করি। পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে শর্টগান উদ্ধার করে তাকে থানায় নিয়ে যান।
ডা. গোলাম কবির বলেন, তাদের ফ্লাট আমি চুক্তির মাধ্যমে ভাড়া নিয়ে প্রতিষ্ঠান চালায়। তবে তারা আমাকে হেয় প্রতিপন্ন ও চুক্তি মেয়াদের আগে ফ্লাট থেকে নামাতে বিভিন্ন তালবাহানা করেন। সর্ব শেষ আমি একটি লাইসেন্স সহ একটি শর্টগান নতুন ক্রয় করেছি। শর্টগানটির কাগজ পত্র নিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে যাচ্ছিলাম। আমার অফিস থেকে নামার পরে সালমা ও তার মেয়ে পরিকল্পিত ভাবে আমাকে পাকড়াও করে। এসময় সালমা ও তার মেয়ে ও তার অনুসারী লোকজনের সাথে আমার ধস্তাধস্তি হয়। অন্যান্য লোকজন ডেকে আমাকে অপদস্থ করেছে তারা।
বোয়ালমারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম সুমন বলেন, ফ্লাটের মালিকের সাথে বাকবিতণ্ডা হয়েছে। ডা. গোলাম কবিরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে থানায় আনা হয়েছে। এসময় তার শর্টগান ও গুলি উদ্ধার করা হয়।