চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে কিশোর গ্যাংয়ের হাতে আক্রান্ত হয়েছে মো. শাহেদ (২০) নামের এক পলিটেকনিক কলেজের ছাত্র। এ সময় তাকে বেধড়ক পিটিয়ে তার পকেটে থাকা টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয় এসব বখাটে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। গত বুধবার রাত ৯টার দিকে কধুরখীল ইউনিয়নের নাজির দীঘির পশ্চিম পাশে জামতল ফজল ফকিরের মাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত কলেজ ছাত্রকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এটি নিত্য দিনের ঘটনা জানিয়ে প্রশাসনের কাছে এর দ্রুত প্রতিকার চেয়েছে গ্যাংটির উৎপাতে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। আহত শাহেদ ইমাম নগরস্থ ডা. মকবুল আহমদ বাড়ির মৃত শাহ আলমের পুত্র। তিনি চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
স্থানীয়রা জানান, চিৎকার ও চেঁচামেচি শুনে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি মাটিতে পড়ে শাহেদ নামের ছেলেটি কাতরাচ্ছে। তার শরীর থেকে রক্ত ঝরছে সমানে। আমাদের আসতে দেখে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। আমরা তাড়াতাড়ি তাকে হাসপাতালে নেয়ার ব্যবস্থা করি।
আক্রান্ত মো. শাহেদ বলেন, ওই সময় আমি একটি টিউশনি শেষ করে বাড়ি ফিরছিলাম। পথিমধ্যে কয়েকজন কিশোর আমার পথ আগলে দাঁড়ায়। কিছু বুঝে উঠার আগেই তারা আমার পকেটে হাত দিয়ে ঝাপটা–ঝাপটি করতে থাকে। আমি বাধা দিতে চাইলে তারা লাঠি দিয়ে আমাকে উপর্যপুরি আঘাত করে। এ সময় আমার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে তারা পকেটে থাকা কিছু টাকা ও মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাটি আমি বৃহস্পতিবার বোয়ালখালী থানাকে লিখিতভাবে জানিয়েছি।
মনির হোসেন জাবেদ নামের এলাকার এক সমাজকর্মী জানান, ১৩ থেকে ১৫ বছরের একটি কিশোর গ্যাং প্রায় প্রতিদিনই এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গেই এসব বখাটে কিশোরদের দৌরাত্ম্য বেড়ে যায়। এরা মদ, ইয়াবা সেবনসহ চুরি–চামারি নানা অপরাধের সঙ্গে যুক্ত। আমরা ইমাম নগরবাসী নিরাপত্তাহীতায় ভুগছি। এ ব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
জানতে চাইলে বোয়ালখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুর রাজ্জাক বলেন, শাহেদ নামের এক যুবক ঘটনাটি আমাদের জানিয়েছে। আমরা তদন্ত করছি। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা নিষেধ