০৯ জুন সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী সেচ্ছাসেবকলীগের সম্মেলন। সম্মেলকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। সভাপতি পদে নামজুল হুদা টিটো, জাকিরুল ইসলাম লিমন, আব্দুর রাজ্জাক, সেরাজুল ইসলাম রাজু ও বিজয় দত্ত অলক প্রতিদ্বন্দীতা করছেন। সাধারন সম্পাদক পদপ্রার্থী- খালিদ সাইফুল্লাহ সাদী, সাাইফুল ইসলাম, আহসান হাবীব খোকা, সুমন রহমান, রিপন সরকার ও কামরুল হাসান মাঠ চোষে বোড়াচ্ছেন।
তবে সাধারন সম্পাদক পদে সুমন রহমান ওরফে পীর সুমনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তিনি সদর উপজেলার মেছড়া ইউনিয়ন ভুমি অফিসে অফিস সহায়ক (পিয়ন) পদে কর্মরত রয়েছে। তিনি কিভাবে দলের পদবী বা সরাসরি সংগঠনের কাউন্সিলে অংশ গ্রহন করছেন। সেটা নিয়ে কাউন্সিলর ও অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে মেছড়া ইউনিয়ন ভুমি অফিসের নায়েব নজরুল ইসলাম বলেন, সুমন মেছড়া ইউনিয়ন ভুমি অফিসে পিয়ন পদে চাকুরি করেন। এর চেয়ে বেশি কিছু জানতে হলে তার সাথে কথা বলুন।
তবে চাকুরি বিষয়ে কথা বলতে সুমন রহমানে মুঠো ফোনে কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এবিষয়ে জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নাজমুল হুদা টিটো বলেন, সম্মেলন ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবের সৃষ্টি হয়েছে। এখানে বহু নেতাই প্রার্থী হয়েছে, দলের প্রয়োজনে হতেই পারে। তবে সাধারন সম্পাদক পদপ্রার্থী সুমন রহমান সরকারী চাকুরি করে এমন কথা শুনেছি। আমি যদিও ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং সম্মেলনেও আমি সভাপতি প্রার্থী তাই এ বিষয়টি দেখবে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
এবিষয়ে রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজালাল মুকুল বলেন, কেউ সরকারী চাকুরি করে কাউন্সিলে প্রার্থী হয়েছে এমন লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এদিকে দীর্ঘ দিন পর গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী এই সংগঠনের সম্মেলনকে তৃণমুল থেকে শুরু করে সকল স্তরের নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষন। কে হচ্ছে জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক। জেলা গ্রæপিং রাজনীতি এখন প্রকাশ্যে এসেছে। সবাই চেষ্টা করছে নিজের পক্ষ কে শক্তিশালী করতে।