ঝালকাঠিতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্রকরে একটি আওয়ামী পরিবারকে হয়রানী করার অভিযোগ উঠেছে রফিক নামের একজন ইমারত নির্মান মিস্ত্রীর বিরুদ্ধে। ষ্টিমার ঘাটে একটি বেঞ্চ নির্মানে ত্রুটির প্রতিবাদ করায় চাঁদাদাবীর অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভুক্তভুগি একটি পরিবার।
বৃহস্পতিবার সকালে রফিক তার লোকজন নিয়ে ঝালকাঠি শেখ রাসেল মিনি ষ্টেডিয়ামের সামনে একটি মানববন্ধন করেছে আরিফ নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। আরিফের বাবা আব্দুল হক খলিফা ঝালকাঠি পৌর আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক।
মানববন্ধন শেষে ইমারত নির্মান মিস্ত্রী (রফিক রাজ) একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ঝালকাঠি থানায়। ঐ অভিযোগপত্রে রফিক লিখেছেন, ‘বর্তমানে ঝালকাঠি ষ্টিমার ঘাটে BIWTC’র একটি ভবন নির্মাণ কাজ চলমান আছে। যাহার মুল ঠিকাদার মো. গিয়াস উদ্দিন। আমি ঐ ঠিকাদারের কাছ থেকে সাফ কন্ট্রাক নিয়ে গত ৮ মাস পর্যন্ত দালানের নির্মান কাজ করিতেছি। ষ্টেশন রোডের লঞ্চঘাট এলাকার আরিফ খলিফা তার ভাইদের নিয়ে আমার উপর হামলা করে। তাদের সাথে আরো অনেকে ছিলো।
কেনো হামলা করা হলো তা যানতে চাইলে রফিক বলেন, ষ্টিমার ঘাটে ঐ দালানটির নির্মান কাজের শুরু থেকেই ২লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে আসছিলো আরিফ। ইতিপূর্বে ঠিকাদার গিয়াসের নির্দেশে তাদেরকে ৫ হাজার, ২ হাজার করে কয়েকবার টাকা দিয়েছি। বর্তমানে কাজটি শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এ অবস্থায় গত ১২ জুলাই বিকেলে আরিফ খলিফা তার দলবলসহ ছেনা, দা, লোহার রড নিয়ে আমার বান্দাঘাটা এলাকার অফিসে এসে আমার কাছে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে আমাকে খুন জখমের হুমকি দেয় এবং আমাকে মারধর করে।
স্থানীয়দের সাথে আলাপ করলে জানাযায় ভিন্ন ঘটনা। ষ্টিমার ঘাটে নব নির্মিত একটি বেঞ্চ নির্মান কাজে ত্রুটি থাকায় প্রতিবাদ করেন আরিফ খলিফা। এতে তর্ক এবং ধস্তাধস্তি হয় রফিক ও আরিফের সাথে। এতে আরিফ খলিফার বিরুদ্ধে মিথ্যে চাদা দাবীর অভিযোগ দেয় রফিক মোল্লা। অসত্য অভিযোগ দিয়ে আওয়ামী পরিবারকে হয়রানীর অভিযোগ করা হচ্ছে। এতথ্য জানিয়েছে ঐ এলকার মো. রাসেল, ইদ্রিস এবং হালিম।
এ বিষয়ে আরিফ খলিফা বলেন, আমার বাবা ষ্টিমার ঘাটের ইজারাদার। সেই সুবাদে আমি ঘাটে সবসময় আসা যাওয়া করি। বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক স্টিমার ঘাটে নতুন দালান নির্মানকারী ঠিকাদার মো. গিয়াস উদ্দিনের কাছে এলাকাবাসী দাবী জানান ঘাটে যাত্রীদের বসার জন্য একটি বেঞ্চ নির্মান করে দেয়ার জন্য। ঠিকাদারের নির্দেশে রফিক রাজ একটি বেঞ্চ নির্মান করে দেয়। কিন্তু ঐ বেঞ্চের গুনগত মান খারাপ হওয়া এবং প্লাষ্টার না করায় আমি শুধু প্রতিবাদ করেছি। এতে রফিক আমার উপর চড়াও হয়। আমি আত্মরক্ষায় রফিককে ধাক্কা দেই। এতে সে কিছু লোকের কু-বুদ্ধিতে আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছে।’
আরিফফের বাবা আব্দুল হক খলিফা বলেন, ‘আমার পরিবারকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে সাংবাদিকদের মিথ্যে তথ্য সরবরাহ করছে রফিক রাজ। আমি এই ঘটনার সঠিক তথ্য উদঘাটনে গনমাধ্যমকর্মী এবং প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানাই।’
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন সরকার বলেন, ‘রফিক মোল্লা একটি এজাহার থানায় দিয়েছে। আমি ঘটনাস্থলে অফিসার পাঠিয়েছি এবং বিষয়টিনতদন্ত করে দেখছি। অভিযোগের সত্যতা প্রমানিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর সত্যতা না পেলে সেটাও দেখা হবে।’