বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বেশি বাড়াবাড়ি করবেন না। পূর্বের ন্যায় আগুন সন্ত্রাস করলে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। এদেশের মানুষ সন্ত্রাসীদের সমর্থন করেনা।
আজ শুক্রবার (১৪জুলাই ) দুপুরে নওগাঁর সাপাহারে চৌধুরী চান মোহাম্মাদ মহিলা কলেজ প্রাঙ্গনে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ সাপাহার উপজেলা শাখার ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের উপকারভোগী সবদলের সব ধর্মের মানুষ। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় মুক্তিযোদ্ধাদের সন্মানীভাতা বাড়িয়েছেন তিনি। বিধবাভাতা, বয়স্কভাতা,প্রতিবন্ধীদের ভাতাসহ শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দিচ্ছে সরকার। এসময় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছাতে মহিলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান মন্ত্রী ।
উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রাখতে হলে শেখ হাসিনাকে আবারো ক্ষমতায় রাখতে হবে। তিনি বলেন,শেখ হাসিনা বলেছিলেন নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করবেন।তিনি সেটা করে বিশ্ববাসীকে আমাদের সক্ষমতা দেখিয়ে দিয়েছেন।সরকার উড়ালসেতু , বঙ্গবন্ধু ট্যানেল, এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেলের মত মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করেছে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার সরকার জনগণের স্বাস্থ্যসেবা দিতে প্রতি ইউনিয়নে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেছিল। নারী ও শিশুদের কাছে আস্থার প্রতিষ্ঠান ছিল কমিউনিটি ক্লিনিক। অথচ বিএনপি সরকার কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে তাদের স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত করেছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারো কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করেছে। বিনামূল্যে ২৭ ধরনের ঔষধ পাচ্ছে জনগণ।
দেশ উন্নত হচ্ছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এদেশের কৃষককূল ভালফসলের নায্যমূল্য পাচ্ছে। ১৫ টাকার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ও ৩০ টাকায় ওএমএস এর চাল দিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে আছে সরকার।
সাপাহার উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি ফাহিমা বেগমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন সাপাহার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো: সাহজাহান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো: মাসুদ রেজা সারোয়ার এবং নওগাঁ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি সোমা মজুমদার ।
অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ নওগাঁ জেলা শাখার সভাপতি মোছা. পারভিন আক্তার। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ সাপাহার শাখার সাধারণ সম্পাদক ইসফাত জেরিন মিনা।
সম্মেলনে সভাপতি হিসেবে ফাহিমা বেগম ও সাধারণ সম্পাদক ইসফাত জেরিন মিনার নাম ঘোষণা করা হয়।