জামালপুরে মেলান্দহ উপজেলার ৬ নং আদ্রা ইউপির চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম খোকা’র বিরুদ্ধে ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে এবং ইজিপিপি প্লাস প্রকল্পের ২৩০ জন শ্রমিকের ৪’শ করে ৭৫ দিনের প্রায়৭০ লক্ষ টাকা অর্থ আত্মসাৎ ও অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন পরিষদের ৬জন সদস্য (মেম্বার) ও প্রকল্পের তালিকাভুক্ত শ্রমিকরা। ন্যায়বিচার চেয়ে ইউএনও ও জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন তারা।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রফিকুল ইসলাম খোকা কয়েক মাস আগে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে পরিষদে সরকারি বরাদ্দ করা অর্থ আত্মসাৎ করছেন। তিনি টিআর, কাবিখা, এডিপি, এলজিএসপি, ইজিপিপি প্লাস প্রকল্পের ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। তা ছাড়াও প্রকল্পের শ্রমিকদের টাকা না দিয়ে এবং সিম নিজেদের কাছে রেখে সমদ্বয় টাকা আআত্মসাৎ করেছে। শুধু তাই নয় মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রেও কমিশন নিয়ে থাকেন।
পরিষদের ৬ জন সদস্যদের সঙ্গে সমন্বয় না করে নিজের ইচ্ছেমতো কাজ করেন তিনি। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে আইন-আদালতের ভয় দেখানো হয় বলেও অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। পরিষদের নারী স্টাফ,সেবাগ্রহীতা ও সাধারণ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসব অনিয়মের বিচার চেয়ে পরিষদের ছয়জন সদস্য ও ১২জন প্রকল্পের তালিকা ভুক্ত শ্রমিক ২৩ জুলাই রবিবার মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দায়ের করে মির্জা আজম এমপি ও জেলা প্রশাসকের কাছে অনুলিপি প্রদান করেছে।
আদ্রা ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম খোকা তার বিরুদ্ধে করা সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘কোনো অভিযোগের সত্যতা নেই। আমি দলের নেতা ও কাউ কে হিসাব দিয়ে কাজ করার সময নাই।