ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন এর কটুক্তি ও খারাপ আচরণে নারী সদস্য কিটনাশক পানে আত্মহত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, টিসিবির পণ্য বিতরণ করার আগে শুক্রবার বিকেলে চেয়ারম্যান ইউনিয়নের পরিষদে সকল সদস্যদের জরুরী সভার আয়োজন করেন। সেখানে সকল ইউপি সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় নিজ নিজ এলাকার সুবিধাভোগীদের মাঝে টিসিবির কার্ড বিতরণের জন্য সকল সদস্যদের হাতে দিলেও ওই সংরক্ষিত মহিলা সদস্যকে কার্ড না দিয়ে নানা ধরণের কটুক্তি ও খারাপ আচরন করেন, এবং চেয়ারম্যান অফিস থেকে তাকে বের করে দেন। সেই রাগে ক্ষোভে পরিষদ থেকে বের হয়ে বাড়িতে গিয়ে ওই দিন সন্ধ্যায় কিটনাশক পান করে।
প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎস শনিবার রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেছে। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে পারিবারিক সুত্রে জানাগেছে।
সংরক্ষিত নারী সদস্যের স্বামী বলেন, আমরা গ্রাম্য ভাবে চেয়ারম্যানের দল না করায় এবং এমপি বরাদ্দে আমার স্ত্রী তার ওয়ার্ডের ভেতরে কিছু রাস্তা তৈরী করার কারণে চেয়ারম্যান আমার স্ত্রীর প্রতি রাগে ইউনিয়ন পরিষদে কোন মিটিংয়ে তাকে ডাকেন না।
তবে শুক্রবার আমার স্ত্রী অন্যের মাধ্যমে খবর পেয়ে পরিষদের জরুরী মিটিংয়ে উপস্থিত হয়। এসময় চেয়ারম্যান অন্যান্য সদস্যদের মাঝে টিসিবি পণ্যের কার্ড বিতরণ করেন। তবে আমার স্ত্রীকে কোন কার্ড না দিয়ে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও বেতন না দেয়ার হুমকি দেয়। সে রাগেক্ষোভে বাড়িতে এসে আত্মহত্যা করার উদ্যেশে বিষ পান করে।
চেয়ারম্যানের ভয়ে ওই ইউপি নারী সদস্য মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না। এসময় তিনি বলেন, নিউজ করলে কি হবে। চেয়ারম্যানের অনেক বড় হাত আছে। সে এটাকে পানি করে ফেলবে। আমার টাকা নেই তার সাথে লড়াই করে টিকে থাকবো। তাই আমি এখন কিছু বলতে চাইনা।
দাদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন বলেন, আমার সাথে তার কোন বাগবিতণ্ডা হয়নি। তিনি কি কারণে বিষ পান করেছে তা আমি জানিনা। তবে সে শুক্রবারে ইউনিয়ন পরিষদে আমার অফিস কক্ষে আসলে বলে ছিলাম টিসিবির কার্ড লাগবেনা লোক পাঠালে তাদের কার্ড দেয়া হবে। কেননা আমার কাছে তার তথ্য আছে সে এর আগেও টিসিবির পণ্য তুলে বাড়ি নিয়ে গেছে বলে জানি।
রোববার বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসিয়াল নাম্বারে একাধিক বার ফোন করলেও তিনি রিসিভড না করে কল কেটে দেন।