বিএনপির ২৪ নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে বিএনপির ২৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪০-৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
সোমবার আলফাডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের উপর হামলা,টায়ারে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ ফাটিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টির অভিযোগে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে এ মামলাটি করা হয়।
মামলা নং ১০,তাং ৩১-৭-২৩,পেনাল কোড-১৪৩/১৮৬/৩৩২/৩৫৩/৩৪ তৎসহ বিস্ফোরক উপাদানাবলী দ্রব্য আইন ১৯০৮ এর ৩/৪/৬ ধারার অপরাধ।
আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের বাঙালি সময়কে বলেন, মামলার এজাহারভুক্ত এক নং আসামি বুড়াইচ ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. ইমরান হোসেন (৩৫) ও ২৪ নং আসামি পৌর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাসারুল বারী (৪৫) দুই জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, ৩০ জুলাই দিবাগত রাত অনুমান ৯.৪০মিনিটের সময় লোকাল বাসস্টান্ট এলাকা থেকে বিএনপি নেতা মো. ইমরান হোসেনকে ঘটনাস্থলে গ্রেফতার করে এবং পরে তার তথ্য ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বাশারুল বারীকে তার বাসা থেকে পুলিশ আটক করে।
পুলিশ জানায়, লোকাল বাস স্ট্যান্ডের সামনে চেকপোস্ট ডিউটি চলাকালে ফোর্সসহ গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল,অবৈধ মাদক, অস্ত্র উদ্ধার সহ বিশেষ অভিযানে থাকায় বিএনপি অঙ্গ সহযোগী সংগঠনে নেতাকর্মীরা ৭০/৭৫ জন লোক বেআইনি ভাবে হাতে লাঠিসোটাসহ ফরিদপুর জেলা বিএনপি বিক্ষোভ সমাবেশে যোগদানের জন্য সরকার বিরোধী শ্লোগান দিতে দিতে ফরিদপুরের দিকে যাইতেছিল।
বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটায়।পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল, ককটেল নিক্ষেপ করে এবং গাড়ির টায়ারে আগুন ধরাইয়া দেয়।ঘটনাস্হল থেকে দুইটি বিস্ফোরিত ককটেল ও দুইটি টায়ারের এর অংশ বিশেষ এবং ইটের ভাঙ্গা টুকরা উদ্ধার করে। এ ঘটনায় থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলাম,ও দুই কনস্টেবল আহত হন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সরজমিনে প্রতিবেদক স্থানীয় পথচারীদের কাছে জানতে চাইলে বলেন, বাসারুল বারী প্রতিদিন রাতে আটটা থেকে সাড়ে আটটার মধ্যে বাসায় চলে যায়। রবিবার দিবাগত রাতে ও একই সময় চলে যেতে দেখেছি।শুনেছি ইমরানের তথ্যে তাকে(বাসারুল বারী) কে বাসা থেকে গ্রেফতার করেছে।
বাসারুল বাড়ির পরিবারের দাবি,সে এই ঘটনার সাথে জড়িত ছিল না।খাটে ঘুমানোর জন্য সময় কাটাচ্ছিল।ঘটনার সাথে জড়িত থাকলে বাসায় ঘুমাতে আাসতো না। তবে সে বিএনপি’র রাজনীতি করে।গত ২৭ জুলাই ঢাকা আন্দোলনে গিয়েছিল।তার জের ধরে এবং ইমরানের ভুল তথ্যে আমার স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এটা মিথ্যা,ষড়যন্ত্র ও উদ্দেশ্য মূলক মামলা। আমি তার নিঃশর্তে মুক্তি চাই।
তবে পুলিশের দাবি নাকচ করে ফরিদপুর – ১ আসনের সাবেক সংসদ ও কেন্দ্রীয় বিএনপি স্হায়ী কমিটির সদস্য শাহ মুহাম্মদ আবু জাফর বলেন,বিএনপি সহযোগী সংগঠনের নেতাদের আটক করেছে পুলিশ। তারপর টায়ারে আগুন দেওয়া, সড়ক অবরোধ, পুলিশের উপরে হামলা, ককটেল ফাটানো এসব কথা মিথ্যাচার। সারাদেশেই পুলিশ এই একই নাটক করে বেড়াচ্ছে। তাদের সব গায়েবি ব্যাপার।
ছবির বামে বুড়াইচ ইউনিয়ন সাবেক সভাপতি মো. ইমরান হোসেন ও ডানে পৌর বিএনপি যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বাশারুল বারী