রাজাপুরে ঘরের সিঁড়িতে পরে ছিল ছাত্রদল সভাপতির মরদেহ, ভিজেছিলেন দীর্ঘসময় বৃষ্টিতে
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ছাত্রদলের সভাপতি জিকুর ঘরের সিঁড়িতে পরে ছিল নিথর মরদেহ। বন্ধুদের সাথে দীর্ঘ সময় ভিজেছিলেন বৃষ্টিতে।
মঙ্গলবার (৮আগষ্ট) সকালে ১০টায় পুটিয়াখালি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে জিকুর জানাযার নামাজ শেষে পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হয়।
স্বজনরা বলেন, সোমবার বন্ধুদের সাথে দীর্ঘ সময় বৃষ্টিতে ভিজেছেন মোহাম্মদ ওমর ফারুক জিকু (৩২)। তিনি বৃষ্টিতে ভীজে বাড়ির আঙ্গিনা পরিচ্ছন্নতার কাজ করছেন। ফাকা ঘরে একাই ছিলেন তিনি। প্রায় দেড় ঘন্টা বৃষ্টিতে ভেজার পর অন্য স্বজনের বাড়িতে দুপুর আড়াইটার দিকে খাবার খেয়ে ফাকা নিজ ঘরে ফিরে আঙ্গিনা পরিচ্ছন্নতার জন্য আবার প্রস্তুতি নেন এমন ধারনা স্বজনদের। হয়তো পরিচ্ছন্নতার কাজ করতে গিয়ে কোন কারনে তার মৃত্যু হয়ে ঘরের সামনের সিঁড়ির গোড়ায় পরেছিলেন দীর্ঘক্ষণ। মৃত্যুর সঠিক কারন বলতে পারছেন না স্বজনরা।
তারা আরও বলেন, মাথার পেছনে সামান্য ফুলা ছাড়া শরীরে আর কোন দাগ বা আঘাতের চিহ্ন নেই। ঘরে কেহ ছিল না। কিভাবে কি হলো, তাও কেহ দেখেননি। কয়েকদিন আগে ঢাকা থেকে জিকু আসলেও তার স্বজনরা ঢাকাতেই ছিলেন। জিকু ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের পুটিয়াখালী ৪ নং ওয়ার্ড নবনির্বাচিত ছাত্রদলের সভাপতি হন মাত্র কয়েকদিন আগে। তিনি মরহুম আফজাল হোসেন মাস্টারের এক মাত্র ছেলে।
একসাথে বৃষ্টিতে ভেজা জিকুর বন্ধু সুজন বলেন, দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে দুজন একসাথে মুশলধারার বৃষ্টিতে ভেজায় সুজনের মা বকা দেয়ায় সে ঘরে চলে যান কিন্তু জিকু ভিজে ভিজে আঙ্গিনা পরিচ্ছন্নতার কাজ করেন। পরে বিকেল ৪ টার দিকে এক ব্যক্তি জিকুর বাড়ির টিউবওয়েল পা ধূতে গিয়ে সিঁড়ির গোড়ায় জিকুকে পরে থাকতে দেখে ডাক-চিৎকার দিলে স্থানীয়রা এসে তাকে রাজাপুর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন এবং দীর্ঘ সময় আগে মারা গেছে বলে জানান এবং স্ট্রোক করে মারা গেছে বলে জানান।
তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া বিরাজ করছে। উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি আল ইমরান খান কিরন এবং বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের সভাপতি সম্পাদক সহ বিভিন্ন ব্যক্তি, সংগঠন, প্রতিষ্ঠান শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।