শিরোনাম:
বোয়ালখালীতে ১৫০ লিটার মদসহ গ্রেপ্তার একজন গোপালগন্জের টুঙ্গিপাড়ায় শাখার কমিটি ঘোষণা ভিপি নুরের দলের নওগাঁয় সাম্প্রদায়িত সম্প্রতি ছাত্র-যুব-জনতা,ঐক্য পরিষদের আলোচনা সভা বরিশালের হিজলায় হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। কালুরঘাট সেতুর কাজ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে : সেতু উপদেষ্টা জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি টিকাসচেতনতামূলক সভা আমতলীতে জমি দখলে নিতে বাড়িতে হামলা ভাঙচুর লুটপাট। গঙ্গাচড়ায় সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভুয়া প্রশংসাপত্র দেওয়ার অভিযোগ বোয়ালমারীতে ডিফেন্স এক্স সোলজারস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের নতুন কমিটি ঘোষণা নওগাঁয় তৃণমূল সমিতির অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

বরিশাল জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্বে সুনাম ও ঐতিহ্য ফিরে পাচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেটের সময় : বুধবার, ৯ আগস্ট, ২০২৩
87.0kভিজিটর


দক্ষিণ বঙ্গের শ্রেষ্ঠ ও
ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিঠ বরিশাল জিলা স্কুল। বরিশাল শহরের আস্থার বিদ্যাপিঠও বরিশাল জিলা স্কুল। লেখাপড়া ও ফলাফলে সবার শীর্ষে বরিশাল জিলা স্কুল। 2023 সালে এসএসসি পরীক্ষায় 305 জনের মধ্যে 265 জন জিপিএ-5.00 অন্যরা সব এ গ্রেড পেয়েছে এবং শতভাগ পাশ, এ রেজাল্ট বরিশাল জিলা স্কুলের জীবনে শ্রেষ্ঠ রেজাল্ট বলে জানা গেছে।
ঐতিহ্যবাহী এ বিদ্যালয়ে বর্তমান প্রধান শিক্ষক জনাব মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম যোগদান করার পর তার সৃজনশীল উদ্যোগ বিদ্যালয়টিতে নতুন মাত্রা পেয়েছে। তার উদ্যোগে বিদ্যালয়ে দৃশ্যমান উন্নয়নের কারণে শিক্ষকগণ তাকে আধুনিক বরিশাল জিলা স্কুলের রূপকার বলে আখ্যা দিয়েছেন।

বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকগণ প্রধান শিক্ষককে অত্যন্ত যোগ্য, মেধাবী ও মানসম্মত কারিগর মনে করেন। বিদ্যালয়ে সামনের অভিভাবক ছাউনিতে অপেক্ষারত এক অভিভাবক যার সন্তান ৯ম শ্রেণিতে পড়ে তিনি বলেন যে, তার সন্তান ছয় বছর যাবৎ এ স্কুলে পড়ে এ সময়ে তিনি ৩/৪ জন প্রধান শিক্ষক দেখেছেন কিন্তু বর্তমান প্রধান শিক্ষকের মত এত চমৎকার ও সদাচারী প্রধান শিক্ষক তিনি পাননি। তিনি আরও বলেন যে, তার অন্য সন্তান অন্য সরাকারি স্কুলে পড়ে কিন্তু ঐ সব স্কুলের সেশন চার্জ দিয়ে কোন উন্নয়ন করতে দেখছিনা অথচ এ প্রধান শিক্ষক অনেক উন্নয়ন করেছেন।

বিদ্যালয়ের সামনে অপেক্ষারত শতাধিক অভিভাবকগণ সকলে বর্তমান প্রধান শিক্ষকের ভূয়সী প্রশংশা করেছেন এবং তারা সকলেই বর্তমান প্রধান শিক্ষককে পেয়ে গর্ববোধ করেছেন। তাছাড়াও এ শিক্ষকের আচরণ অনেক ভালো।
যত শিক্ষক গণের সাথে আলাপ হয়েছে সাবাই বলেছেন যে, বর্তমান প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম স্যারের মত সৎ, কর্মঠ ও সদাচারী বর্তমান সময়ে বিরল। তিনি প্রায় আড়াই বছরে যে দৃশ্যমান সংস্কার ও উন্নয়ন করেছেন তা বরিশাল জিলা স্কুল আজীবন স্মরণে রাখবে। তারা সকলেই প্রধান শিক্ষকের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন।

বরিশাল জিলা স্কুলের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে দেখা গেছে সর্বত্রই রয়েছে প্রধান শিক্ষকের হাতের ছোয়া । প্রবেশ করলেই দেখা যায় মাঠের মধ্যে দাড়িয়ে আছে সুসজ্জিত সাদা পোষাকে পতাকা মঞ্চ যা প্রধান শিক্ষকের উদ্যোগে ও বেসরকারি অর্থে তৈরি । নারী শিক্ষিকাদের জন্য আলাদা কোন ওয়াশরুম ছিল না। তিনি যোগদানের পর প্রথমই এ কাজটি করেছের। এছাড়াও তিনি ছাত্রদের সেশন চার্জের অর্থ হতে স্বাভাবিক কাজ নির্বিঘ্ন রেখেও বিভিন্ন দৃশ্যমান উন্নয়ন করেছেন।

এসব উন্নয়নের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- পতাকা মঞ্চ তৈরি, হলরুমের আধুনিকায়ন, হলরুমে ২০০ চেয়ার ক্রয়, প্রশাসনিক কক্ষের টেবিল, চেয়ার, আলমারি, ফাইল কেবিনেট ক্রয়, শিক্ষক মিলনায়তনের কনফারেন্স টেবিল তৈরি, নারী শিক্ষিকাদের জন্য আলাদা ওয়াশ রুম তৈরি, ক্রীড়া রুমের জন্য আসবাবপত্র তৈরি, পাঠাগারের জন্য আসবাবপত্র তৈরি, বঙ্গবন্ধু কর্নারের জন্য আসবাবপত্র তৈরি, প্রশাসনিক ও শিক্ষক মিলনায়তনের বিদ্যুৎ ব্যবস্থার সংস্কার ও শ্রী বৃদ্ধি, অফিস কক্ষের উন্নয়ন, ০৩ টি ল্যাপটপ ক্রয়, ০৩ টি কক্ষে মাল্টিমিডিয়া স্থাপনসহ আরও বহু উন্নয়ন ও সংস্কার সাধন করেছেন যা চোখের সামনে দৃশ্যমান রয়েছে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ বলেছেন যে, তাদের বর্তমান প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম অল্প সময়ের মধ্যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও পরিবর্তন করেছেন। বিদ্যালয়ের সার্বিক শৃঙ্খলা ও পরিবেশ উন্নত করায় ছাত্র শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে আস্থা বেড়েছে।

বিদ্যালয়ের টয়লেট নিয়ে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া থাকলেও প্রধান শিক্ষক অপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন বলে সকলে মনে করছেন। বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষক ই ক্লাসে আন্তরিক। বিদ্যালয়ের অতিরিক্ত ক্লাশে ছোট খাট সমস্যা থাকলেও সার্বিক অবস্থায় সন্তোষজনক প্রকাশ করেন। তবে অল্প কিছু অভিভাবক অতিরিক্ত ক্লাসের বিরোধিতাও করেন।
প্রধান শিক্ষকের সাথে সাক্ষাত করলে জানান যে, বরিশাল জিলা স্কুলের এমন কোন জায়গা নেই যেখানে তার কর্মের চিহ্ন নাই। তবে তিনি এসব কাজ বেসরকারিভাবে ছাত্রদের সেশন চার্জের টাকায় করেছেন। তিনি আরোও বলেন যে, ছাত্রদের টাকা যাতে অপচয় না হয় সেদিকে কঠোর নজরদারির কারণেই নিজস্ব অর্থে উন্নয়ন করা সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেন যে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রের বাহিরে এক পয়সাও বেশি নেয়া হয় না। পূর্বে এডিসফট নামে 240 এবং পুরষ্কার নামে 50 টাকা পরিপত্রের বাহিরে অতিরিক্তত নেয়া হত। তিনি এসে ঐ অতিরিক্ত নেয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। বিদ্যালয়ের পাওনা পরিশোধের জন্য বিকাশ এ্যাপস ডিজিটাল পদ্ধতি তিনিই চালু করেছেন।

বিভিন্ন ক্লাসের ছাত্রদের সাথে আলাপকরে জানা যায় যে, ছাত্ররা বর্তমান প্রধান শিক্ষকে একজন আদর্শবান , কর্মঠ ও স্কুল বান্ধব মনে করে। ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বলে যে, তারা ৩য় শ্রেণিতে ভর্তি হবার পর বর্তমান প্রধান শিক্ষকের মত স্কুল বান্ধব , উন্নত চিন্তা, উন্নয়ন ও পরিবর্তনে অগ্রগামী কাউকে দেখেন নি। বিদ্যালয়ের টিফিন, উন্নত স্কুল ডায়েরী, বিনা মূল্যে স্কুল ব্যাচ, মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম, সুন্দর হল রুম, ক্লাশ রুমের লাইট, মাঠে মঞ্চসহ অসংখ্য কাজ প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম করেছেন বলে শিক্ষার্থীরা জানায়।

ছাত্ররা বলে যে, অল্প কিছু ছাত্র বিদ্যালয়র ফ্যান লাইট, সুইজ ভাংচুর এবং টয়লেট নোংরা করায় আমরা ও অন্য ছাত্ররা সাফার করি। তবে প্রধান শিক্ষক স্যারের বিভিন্ন সময়ে চরিত্রগঠনমূলক উপদেশে অনেকটা কমেছে। তারা আরো বলেন যে বাথরুম একটু পরিষ্কার রাখা গেলে ভালো হত।
বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক, কর্মচারী এবং শিক্ষার্থী অভিভাবকগণের সাথে আলাপকালে জানা যায় যে, বরিশাল জিলা স্কুলের বর্তমান প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম একজন সৎ কর্মবীর, উদ্যোমী, স্কুলবান্ধব, সদাচারী প্রধান শিক্ষক। তার মতো প্রধান শিক্ষক পেয়ে বরিশাল জিলা স্কুল পরিবারের সবাই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
কপিরাইট ©২০০০-২০২২, WsbNews24.com এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত।
Desing & Developed BY ServerNeed.Com
themesbazarwsbnews25
x