জাতির দর্পণ রাষ্ট্রের আয়না বলে খ্যাত সাংবাদিক অপর দিকে জেলা প্রশাসক প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ ও নাগরিকদের সেবক।
রাষ্ট্রের ভুমি অধিগ্রহণ, লিজ, হস্তান্তর সংশ্লিষ্ট আইনে কি বলা আছে? দৃশ্যমান কি দেখছি! সমাধান কি?
ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব সংশ্লিষ্ট ভূমি নিয়ে এমন প্রশ্নের উওর জটিলতা নিরসন চায় পেশাদার সাংবাদিক সচেতন মহল।
ভুমি মন্ত্রণালয় বা জেলা প্রশাসন কর্তৃক বাৎসরিক চুক্তিতে বা বন্ধবস্থ চুক্তিতে লিজকৃত সম্পদের উপর বহুতল বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের সুযোগ আছে কি না? যে চুক্তিভিত্তিতে লিজ প্রদান করা হয়েছিল সেখানে শর্তাবলী কি ছিল?
জানা যায়, ৯৬ সিকে ঘোষ রোডস্থ ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের জন্য লিজকৃত ভূমি বাৎসরিক আনুমানিক ২২০০ শত টাকা সরকারী কোষাগারে জমাদানের শর্তে লিজ প্রদান করা হয়।
ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের লিজকৃত ০.১৭৮০শতাংশ ভূমিতে দুটি ৪ তলা বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। উক্ত ভূমিতে ৩২ শতাংশ ভূমি রয়েছে বলে প্রেসক্লাবের প্রকাশিত একটি স্মরণিকায় সাধারণ সম্পাদক উল্লেখ করেছিলেন। জে,এল ৭৬ এর লিজকৃত.০.১৭৮০ এর অতিরিক্ত যে সম্পদ রয়েছে ঐ সম্পদের প্রকৃত মালিকানা থেকে কোন বৈধতা নেওয়া হয়েছে কি না?
জেএল নং-৭৬ জেএল নং-৮০ সিএস দাগ খতিয়ানে দুটি নাম দেখা যায়, একটির মালিক হৈমবালা অপরটি মন্দিরের পক্ষে সেবায়েত। এরা বিক্রয় বা হস্তান্তর করেছে এমন রেকর্ডপত্র পাওয়া যায়নি।
কোন ক্লাব বা সংগঠনের নামে লিজকৃত ভূমি’র উপর বহুতল ভবন বা কোটি কোটি টাকা আয়ের জন্য বাণিজ্যিক বহুতল ভবন নির্মাণ করার আইনগত কোন বৈধতা বা নির্দেশনা দেওয়ার সুযোগ আছে কি না?
ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব সংক্রান্ত বিষয়ে সচেতন নাগরিকদের প্রশ্ন গণমাধ্যমকর্মী, প্রেসম্যান, প্রেস সোসাইটিতে ক্লাব সংগঠন গড়ে উঠলে সেখানে গণমাধ্যম, প্রিন্ট, ইলেকট্রনিকস, অনলাইন মিডিয়া সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ সমন্বয়ে কমিটি সাংগঠনিক অবকাঠামোর মাধ্যমেই হওয়া আবশ্যক, এক্ষেত্রে আমলা, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবী, ব্যবসায়ীদের থাকার সুযোগ আছে কি না?।
সকল পেশারই পেশাজীবী সংগঠন রয়েছে, অন্য যেকোনো পেশার সংগঠনের সাথে সাংবাদিকদের থাকার সুযোগ নেই। ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে এমন কি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় জড়িয়ে আছে , যে এখানে জেলা প্রশাসককে সভাপতি নিয়োগ দিতে হয়? এবিষয়ে গভীরে যে রহস্য লুকিয়ে আছে তা উন্মোচিত হওয়া বা বিতর্ক নিরসন হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছে ময়মনসিংহবাসী।