ঝালকাঠির নলছিটিতে আদলতের রায় পাওয়ার পরেও নিজের বসত ভিটায় ঘর তুলতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে একই বাড়ির প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। নলছিটি উপজেলার রানাপাশা ইউনিয়নের দক্ষিণ তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী আবদুল কাইউম মোল্লা অসহায় হয়ে বিচারের আশায় মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও প্রতিকার পাননি।
কাইউম মোল্লা অভিযোগ করে বলেন, আমার বাড়িতে ১২০২ দাগে ২৬ ও ২৭ খতিয়ানে সাড়ে ৫ শতাংশ জমি রয়েছে। আমি প্রথমে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করলে চেয়ারম্যান কাগজপত্র দেখে আমাকে জমি দখল করে দিয়েছে। পরবর্তীতে আমার প্রতিবেশী কামাল মোল্লা ও মজিবর মোল্লা চেয়ারম্যানের নির্দেশ অমান্য করে দখলে থাকতে দেয়নি। জমি তাদের কাছে বিক্রি করে দিতে হবে বলে হুমকি দিতে থাকে। জমি দখলে নিতে পরে ভুমিদস্যুরা আদালতে ৫টি মামলা দেয় কাইউম মোল্লার বিরুদ্ধে।
সে মামলায়ও কাইউম মোল্লা পক্ষে হয়েছে কিন্তু তারা সে রায়ও মানছেনা। একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে। মামলায় তারা হেরে যাওয়ায় এখন মহিলাদের দিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। ভুমিদস্যু ও মামলাবাজ কামাল মোল্লা ও মজিবর মোল্লা তাদের কাছে জমি লিখে দিতে চাপ দিচ্ছে। বৃদ্ধা মাকে নিয়ে নিজ জমিতে ঘর তুলে থাকতে পাছেনা কাইউম মোল্লা। ভুক্তভোগী কাইউম মোল্লা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজে নেয় বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানান যায়, কামাল মোল্লা ও মজিবর মোল্লা শুধু কাইউম মোল্লকে নয় পাশের অন্য পরিবারকেও মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে।
অভিযোগে বিষয় জানতে কামাল মোল্লাকে একাধিকবার ফোন দিলে ফোন রিসিভ না করায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে রানাপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহাজাহান হাওলাদার বলেন, আমি সালিসি করে দিয়েছিলাম। কিন্তু কয়দিন পরে তা না মেনে তারা উল্টো কাইউয়মের বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। কামাল মোল্লা ও মজিবর মোল্লা তাদের কাছে জমি বিক্রি করে দিতে বলছে।