ঝালকাঠির রাজাপুরে ধারের ৪শ’ টাকা ফেরত চাওয়ায় ফেরদৌস নামের এক পাওনাদারকে ছুরি দিয়ে জখম করেছে স্থানীয় নাঈম হাওলাদার। ঘটনার সময় ফেরদৌসকে ধরতে গেলে আল রাব্বি এবং মো. ফয়সাল নামের আরো দু’জনকে ছুরি দিয়ে জখম করেছে নাঈম হাওলাদার।
স্থানীয়রা জানায় ‘অভিযুক্ত নাঈম হাওলাদার গালুয়া গ্রামে শ্রমিকের কাজ করে। আর আতহরা সকলেই কলেজ শিক্ষার্থী। তারা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদেও দায়িত্বরত।’
বৃহস্পতির ১৭ আগষ্ট বিকেলে এ ঘটনার পর আহতদের সহপাঠি ও ছাত্রলীগের কর্মীরা অভিযুক্ত নাঈমের বাড়িতে গিয়ে নাঈমকে মারধর করেছে। নাঈমের দাবী তার মা, স্ত্রী এবং মামীকেও ফেরদৌসের লোকজন পিটিয়েছে।
এঘটনার পর গত তিনদিন থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। দু’পক্ষই রাজাপুর থানায় অভিযোগ পত্র দায়ের করেছে। অভিযোগের বিষয়ে তথ্য নিশ্চিত করে রাজাপুর থানায় কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ফিরোজ মুঠো ফোনে বলেন, ‘দুপক্ষের দুটি অভিযোগ পত্র পেয়েছি। তবে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও গন্যমান্য ব্যক্তিরা বিষয়টি শনিবার সমাধান করে দিবেন বলে জানতে পেরেছি।’
গনমাধ্যমে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঘটনার প্রতক্ষদর্শী অনেকেই বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকেলে পাকাপোল নামক বাজারে ফেরদৌস এসে নাঈমের কাছে পুর্বের পাওনা ৪শো টাকা চায়। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। একপর্যায়ে নাঈম দৌরে গিয়ে একটি ছুরি নিয়ে এসে ফেরদৌস, আল রাব্বি এবং মো. ফয়সাল নামের তিনজনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করেছে। স্থানীয়রা আহতদের রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।’
আহত ফেরদৌস গনমাধ্যম কর্মীদের বলেন, ‘গালুয়া ইউনিয়নের পাকাপোল নামক এলাকার নাঈম গত ২০ দিন আগে একটি বাটন মোবাইল ফোন সেট বন্দক রেখে আমার কাছ থেকে ৪শ’ টাকা ধার নেয়। ৩ দিনের মধ্যে টাকা দেয়ার কথা থাকলেও ১৫ দিনেও তা দেয়নি। আমিও ওর ফোন ফেরত দিতে চাইছি। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঐ টাকা ফেরত চাওয়ায় তখন ছুরি দিয়ে আমাদের তিনজনকে আঘাত করে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। তবে আমি ঘটনাস্থল থেকে হাসপাতালে গিয়েছি। কিন্তু নাঈম থানায় আমাদের নামে মিথ্যে অভিযোগ দিয়েছে। আমরা তার বসত ঘরে হামলা করিনাই।’