ঝালকাঠির রাজাপুরের শুক্তাগড় ইউনিয়নের কাঠিপাড়া এলাকায় কবলাকৃত বাড়ি ও সম্পত্তি থেকে সুভাষ চন্দ্র শীলের পরিবারকে উৎখাতের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার মো. হান্নান হাওলাদার, তার ছেলে আবুল হোসেন ও আবু শাহান ওরফে হাবিব হাওলাদার এবং হাবিব হাওলাদারের স্ত্রী মিনারা বেগমের বিরুদ্ধে। সুভাষ চন্দ্র শীল ঐ এলাকার মৃত হরেন্দ্র বালা শীলের ছেলে।
বুধবার রাতে রাজাপুর প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগে নিজের এবং পরিবারের নিরাপত্তা দাবির পাশাপাশি ওই অভিযুক্তদের বিচারের দাবী জানিয়ে প্রসাশনের সহযোগীতা করেন বৃদ্ধ সুভাষ চন্দ্র শীল।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, তার কবলাকৃত সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলে নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে একই এলাকার মৃত মেনাজ উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে হান্নান হাওলাদার, মো. হান্নান হাওলাদারের ছেলে আবুল হোসেন ও আবু শাহান ওরফে হাবিব হাওলাদার এবং হাবিব হাওলাদারের স্ত্রী মিনারা বেগম। সুভাষ চন্দ্র শীল কিছুদিন আগে তার কবলাকৃত সম্পত্তি থেকে কিছু অংশ বিক্রি করে দেলোয়ার নামের এক ব্যক্তির কাছে। কিন্তু প্রতিপক্ষরা দেলোয়ার’কে ঐ সম্পত্তি ভোগ করতে বাঁধা দেয়।
গত ২২ আগষ্ট দুপুরে প্রতিপক্ষরা সুভাষ চন্দ্র শীলের সম্পত্তি থেকে ভিবিন্ন প্রকারের ফল ফলাদি নিয়ে যায়। তাতে সুভাষ চন্দ্র বাধা দিলে প্রতিপক্ষরা তাকে ভয়ভিতি প্রদর্শন সহ হুমকি দেয়। সুভাষ চন্দ্রের কাছ থেকে জমি ক্রয় করে সেই জমিতে কিছুদিন আগে চাষাবাদ করে দেলোয়ার। গত ২৩ আগষ্ট সেই জমিতে রোপনকৃত বীজ তুলে নষ্ট করে ফেলে এবং ২৪ আগষ্ট সেই জমিতে নতুন করে চাষাবাদ শুরু করে হান্নান হাওলাদার সহ তার লোকজন। তখন তাতে বাঁধা দিলে হান্নান হাওলাদারের লোকজন সুভাষ চন্দ্র শীল’কে টেনে হিঁচড়ে জমিতে ধরে এনে মারধর সহ লাঞ্চিত করে। এর আগে সালিশী ব্যবস্থা হলে প্রতিপক্ষ হান্নান হাওলাদার ও তার পরিবারের লোকজন তা না মেনে দিনের পর দিন সুভাষ চন্দ্রের সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা ও তার উপড়ে মানুষিক ও শারীরিক নিযার্তন চালিয়ে আসছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে আবু শাহান ওরফে হাবিব হাওলাদার বলেন, এই সম্পত্তি আমরা সুভাষ চন্দ্র শীলের বাপ-চাচাদের কাছ থেকে কিনেছি। সুভাষ চন্দ্র আমাদের সম্পত্তি বুঝিয়ে না দিয়ে বিক্রি করেছে।
এ বিষয়ে রাজাপুর থানার এস আই হেলাল বলেন, এই জমি নিয়ে এর আগেও সালিশ বৈঠক হয়েছে। সালিশীর রায় হান্নান ও তার লোকজন না মেনে সুভাষ চন্দ্রে ও তার বিক্রয় করা সম্পত্তি দখলের চেষ্টা চালায়ি যাচ্ছে। এ বিষয়ে সুভাষ চন্দ্র লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং উভয় পক্ষকে ডাকা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।