শিরোনাম:
ফরিদপুরে স্কুলপড়ুয়া শিশুকে জ্যান্ত কবর দিয়ে হত্যার চেষ্টা কিশোর গ্যাংয়ের গেপালগঞ্জে ৩ দিনব্যাপী কৃষি মেলা সমাপ্ত নওগাঁ এডুকেশন  ফাউন্ডেশন এর ৫ম তম বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত  নওগাঁয় প্রিপেইড মিটারে ভোগান্তী; স্থাপন বন্ধের দাবী চট্টগ্রামে ইয়াবাসহ প্রেমিক প্রেমিকা আটক এয়ারপোর্ট থানাপুলিশের অভিযানে অটো রিক্সা ছিনতাইকারী চক্রের দুই সদস্য আটক কেয়ার একাডেমির উদ্যোগে  ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান বোয়ালমারীতে মিফতাহুল জান্নাহ্ মহিলা মাদরাসার উদ্বোধন অনুষ্ঠিত বোয়ালমারীতে চিকিৎসকের অবহেলায় প্রাণ গেল শিক্ষার্থীর চট্টগ্রামে ট্রেনের ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িটি ‘ওসির নির্দেশে’ ছেড়ে দেওয়ার হলো মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার দাবীতে মানববন্ধন ।

রাজাপুরে স্কুল রাজাপুরে স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ মামলার আসামী গ্রেফতার হয়নি

মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ২৯ আগস্ট, ২০২৩
স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ মামলার আসামী গ্রেফতার হয়নি
157.8kভিজিটর

স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ মামলার ৮মাস অতিবাহিত হলেও ২নং আসামী রয়েছে ধরাছোয়ার বাইরে। ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার ছোট কৈবর্তখালী গ্রামে ২০২২ সালের ২৯ অক্টোবরের ঘটনায় ১৫ নভেম্বর মামলা দায়ের করেন ভিকটিমের মা। আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় অব্যাহত হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতা, উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন মামলার বাদী ভিকটিমের অসহায় বিধবা মা। তিনি আসামী ফুহাতকে গ্রেফতারেরও জোর দাবি জানান। উল্লেখ্য, মামলার প্রধান আসামী আলী হোসেন গ্রেফতার হয়ে কারাবাস করছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানাগেছে, রাজাপুর উপজেলার ছোট কৈবর্তখালী এলাকায় স্বামী হারা বিধবা মা তার স্কুলের দশম শ্রেণিতে পড়–য়া ছোট কন্যা ও সাড়ে ৩বছর বয়সী নাতিকে নিয়ে বসবাস করেন। স্কুলে যাবার পথে প্রায়ই উত্যক্ত ও হুমকি দিতো ওই এলাকার মৃত আনেচ মোল্লার ছেলে আলী হোসেন মোল্লা (২৭) ও ৪নং বড় কৈবর্তখালী ওয়ার্ডের আওয়ামিলীগের সভাপতি মো. শাহ আলম মীরের ছেলে মো. ফুহাত মীর (২২)। প্রলয়ংকরী ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের পরে দীর্ঘদিন বিদ্যুৎবিহীন ছিলো এলাকা। সেই সুযোগে ২৯ অক্টোবর রাত ২টায় আলী হোসেন মোল্লা ও ফুহাত মীর ঘরের পিছনের জানালার গ্রিল ভেঙে ঘরে ঢুকে মা ও সাড়ে তিন বছরের শিশুর হাত-পা ও মুখ বেধে গলায় চাকু ধরে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে আলী হোসেন।

ফুহাত মীর তাকে সার্বিক সহযোগিতা করে। ধর্ষণ শেষে ঘরের দরজা খুলে বের হবার সময় ঘটনাটি জানাজানি করলে তিনজনকেই একসঙ্গে জবাই করার হুমকি দেয় তারা। আসামীরা প্রভাবশালী হওয়ায় হুমকিতে ভয় পেয়ে এবং লোকলজ্জায় বাড়ি ছাড়া হয়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন। স্বজনদের সাথে আলাপ করে বিচারের দাবিতে ১৫ নভেম্বর রাজাপুর থানায় আলী হোসেন ও ফুহাতকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা (নং-০৫) দায়ের করেন।

মামলার বাদী বিধবা মা অসহায়ত্বের কথা জানিয়ে বলেন, আমরা গরীব মানুষ। আমাদের উপর নির্যাতন করা হইছে। থানায় মামলা দিছি, এখন পর্যন্ত একজন গ্রেফতার হয়নি। আসামীরা অত্যান্ত দুর্ধর্ষ, নির্মম ও চরিত্রহীন লোক। তারা পারে না এমন কোন কু-কর্ম নাই। এলাকায় যাকে তাকে মারধর করা তাদের নিত্য নৈমিত্তিক কাজ। আসামীরা কাউকে পরোয়া করে না এবং এলাকার সবাই তাদের ভয় পায়।

প্রধান আসামী আলী হোসেন এখনো জেলে আছে। ঝালকাঠি কোর্ট থেকে জামিন না পাওয়ায় তার ভাই আফজাল মোল্লা ঢাকা হাই কোর্ট থেকে জামিনে বের করে আনবে। তারপর আমাদের সাথে লড়বে বলেও এলাকার মানুষের কাছে শুনতে পাই। মামলার আট মাস পার হলেও ২নং আসামী ফুহাত মীরকে এখনো পুলিশ গ্রেফতার করতে পারে নাই। কেন পুলিশ এখনো গ্রেফতার করতে পারে নাই জানি না।

রাজাপুর থানার ওসি পুলক চন্দ্র রায় বলেন, মামলা দায়েরের পরপরই অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামী আলী হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই খবরে ২নং আসামী ফুহাত মীর আত্মগোপনে চলে গেছে। তাকেও গ্রেফতার করতে পুলিশ সচেষ্ট রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
কপিরাইট ©২০০০-২০২২, WsbNews24.com এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত।
Desing & Developed BY ServerNeed.Com
themesbazarwsbnews25
x