কুড়িগ্রামের চিলমারীতে সদ্যনির্মিত হরিজন পল্লি এক সপ্তাহে ধরে পানিতে তলিয়ে আছে। টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বেড়ে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এতে পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন হরিজন পল্লিতে বসবাসকারী ৩০ পরিবারের দেড় শতাধিক মানুষ। থানাহাট ইউনিয়নের সবুজপাড়া এলাকার বিলের মধ্যে নির্মিত হরিজন পল্লিতে গিয়ে দেখা গেছে, পল্লির চারদিকে পানি থইথই করছে।
সড়কপথ না থাকায় কোমর সমান পানি ডিঙিয়ে বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্যের সন্ধানে বের হতে হচ্ছে তাঁদের। হরিজন পল্লির বাসিন্দাদের অভিযোগ, এক সপ্তাহ ধরে পানিবন্দী থাকলেও এখনো সরকারি বা বেসরকারিভাবে কোনো খাদ্যসহায়তা পাননি। হরিজন পল্লির বাসিন্দা শ্রী মনি লাল বলেন, ‘সামান্য পানিতে তলিয়ে গেছে আমাদের হরিজন পল্লি। সাত দিন ধরে এভাবে পানিবন্দী রয়েছি।
আর একটু পানি বাড়লে হরিজন পল্লি ছেড়ে চলে যেতে হবে আমাদের।’ শ্রী রুমা রাণী বলেন, ‘বাচ্চাদের নিয়ে খুব কষ্টে আছি, সব সময় ভয়ে থাকতে হচ্ছে।’ অপর দিকে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় চিলমারীতে ৬টি ইউনিয়নের প্রায় ১৪ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পরেছে। পানিবন্দী এসব মানুষ সুপেয় পানি, শুকনো খাবার ও গো-খাদ্যের সংকটে পড়েছেন।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ১২ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাফিউল আলম জানান, হরিজন সম্প্রদায়সহ পানিবন্দী মানুষের তালিকা করা হচ্ছে। দু-এক দিনের মধ্যে তাঁদের মাঝে খাদ্যে সহায়তা দেওয়া হবে।