সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরের বেতিল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মো আখরুজ্জামানএর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের দেয়া পরীক্ষা ও টিউশন ফি প্রতারনামূলকভাবে আদায় ও আত্মসাতের অভিযোগে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার দুপুরে বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ মো আখরুজ্জামান আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ এনায়েতপুর থানা আমলী আদালতের বিজ্ঞ বিচারক জনাব শাহরিয়ার শহীদ বাপ্পি, জামিন আবেদনের আবেদন না-মঞ্জুর করে আসামীকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
মামলার বাদী ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো হাফিজুর রহমান হাফিজ জোয়াদ্দার জানান, আখতারুজ্জামান দায়িত্ব থাকাকালীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের করোনাকালীন ছাত্রদের পরীক্ষার ফি ও টিউশনি ফি সহ বিভিন্নখাতের টাকা প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাৎ করার অভিযোগে গর্ভনিং বডি একটি অডিট কমিটি গঠন করে তদন্ত কমিটি গঠন করেন এবং তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ প্রাথমিকভাবে সত্যতা পেলে গভর্ণিং বডি বিগত ০২/০৬/২১ইং তারিখে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেন। পরে প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটি বিগত ১৭/১০/২১ তারিখে রেজুলেশনের মাধ্যমে বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ মো আখরুজ্জামানের বিরুদ্ধে অত্র প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জনাব মো হাফিজুর রহমান হাফিজ জোয়াদ্দারকে বাদী করে এনায়েতপুর থানা আমলী আদালতে দন্ডবিধির ৪০৮/৪২০ ধারায় ক্রিমিনাল মামলা করেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবি অত্র প্রতিষ্ঠানের সাবেক ছাত্র সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নিখিল কুমার ঘোষ জানান, মামলাটি বিজ্ঞ আদালত সরাসরি আমলে নিয়ে পিবি আইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। পিবিআই উক্ত মামলাটি প্রায় একবছর যাবত নিবিড়ভাবে তদন্ত করে বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ মো আখরুজ্জামানের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগের সত্যতা পায়।
অধ্যক্ষ এর বিরুদ্ধে প্রতিবেদনে প্রায় সাত লক্ষ টাকার অভিযোগ আমলে নিয়ে পরবর্তীতে সি আর: ৪১/২৩(এনা:) মামলায় বিজ্ঞ এনায়েতপুর থানা আমলী আদালত ৪০৮/৪২০ ধারা আমলে নিয়ে মো আখরুজ্জামানকে ৩০/০৮/২৩ তারিখে হাজির হবার জন্য সমন জারি করেন। বুধবার আদালতে অভিযুক্ত বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরনের আদেশ দেয়। আসামীপক্ষে আইনজীবী হিসেবে ছিলেন এডভোকেট আব্দুর রহমান দুলাল।