টানা নয়দিন বৃদ্ধির পর সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে এখনও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে চৌহালীর দুর্গম চরাঞ্চলে বন্যা কবলিতদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সোমবার সকালে সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে যমুনার পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৩.১ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ১১ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জানা যায়, পানি বৃদ্ধি ও কমার সমায় চৌহালী উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল ও মানুষের দুর্ভোগ বাড়তে থাকে। বসত ভিটা ও ঘরবাড়ীতে পানি ওঠায় চরম বিপাকে পড়েছে পানিবন্দি মানুষ। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলে চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে কাঁচা সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ভেঙ্গে গেছে। একারনে পানি কমলেও যাতায়াতে চরম সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া রান্নার জায়গা ও বিশুদ্ধ পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। এদিকে নিম্নাঞ্চলে কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি ডুকেছে। এছাড়া নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে যাচ্ছে। চৌহালীর স্থল ও নওহাটা গ্রামের জমির ও তাহির মিয়া জানান, নদীতে কিছু পানি কমলেও চরের বিভিন্ন নালা ও বাড়ি ঘরের পানি এখনও পুরোপুরি নেমে যায়নি। এতে দুর্ভোগের মাত্রা আরও বেড়েছে। খুব কষ্টে রান্না ও গরু বাছুর নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে।
বোয়ালকান্দি চরের কোনাবাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হাফিজা খাতুন জানান, বন্যার কারনে স্কুলে শিক্ষার্থীরা চরম ঝুঁকি নিয়ে আসে। তবে এর সংখ্য দিন দিন কমে যাচ্ছে। কারন যাতায়াতের দুর্ভোগ অবর্ননীয়। এখানে বর্ষা নৌকা ও শুষ্ক মৌসুমে পায়ে হেটে স্কুলে যাতায়াত করতে হয়। চৌহালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হেকমত আলী জানান, এখন পর্যন্ত উপজেলায় ৪৭টি আশ্রয়ণ কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ১হাজার৩০টি পরিবারের ৩হাজার ১২ জন মানুষ বন্যায় পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। এদের জন্য সরকারী ভাবে ১০ মেট্রিকটন জিআর চাল পেয়েছি।
তালিকা চলছে দ্রতই বন্যা কবলিতদের মাঝে বিতরণ করা হবে।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা নিষেধ