ঝালকাঠির রাজাপুরে জামিনে বের হয়ে পালট মোহাম্মদিয়া দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার ও তার পরিবারকে মিথ্যা মামলাদিয়ে হয়রানি, হত্যার হুমকি ও চাঁদা দাবির প্রতিবাদে রাজাপুরে প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক মো. কামরুজ্জামান খাঁন। তিনি উপজেলার পশ্চিম বড়ইয়া এলাকার আলহাজ্ব মাস্টার শাহজাহান খাঁনের ছেলে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করে জানান, পশ্চিম বড়ইয়া এলাকার মৃত আব্দুস সত্তার চৌকিদার ছেলে মো.ফারুক চৌকিদার সম্পর্কে আমার আত্মীয় হয়। সে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসের ১৫ তারিখ আমার পিতা আলহাজ্ব মাস্টার শাহজাহান খাঁনকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। তার দাড়ালো দায়ের কোপো আমার পিতার ডান পাশের পাঁজরে প্রায় ৮ ইঞ্চি ক্ষত হয় এবং ফুসফুস কেটে যায়। এ ঘটনায় আমরা রাজাপুর থানায় মামলা দায়ের করিলে বিজ্ঞ আদালত সমস্ত সাক্ষী প্রমানের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ফারুক চৌকিদার’কে দশ বছরের সাঁজা প্রদান করেন।
ফারুক চৌকিদার এই মামলায় বছর খানেক কারাবরণ করার পরে আপিলে জামিনে কিছুদিন বাইরে থেকে পূনরায় একই মামলায় আবার কারাবরণ করে। পরে উচ্চ আদালতে আপিলের মাধ্যমে জামিনে এসে আমাদের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে।
চাঁদা দাবির কারন জানতে চাইলে ফারুক চৌকিদার আমাদের জানায় ‘তোরা আমার নামে মামলা দিয়েছে’ সেই মামলায় আমার সাঁজা হইছে। উচ্চ আদালত থেকে জামিনে আসতে আমার অনেক টাকা খরচ হইছে। এখন তোরা যদি আমাকে টাকা না দেও তাহলে তোকে খুন করবো এবং তোর পরিবারকেও শেষ করে ফেলবে।
তিনি গত রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আমাদের সম্পত্তিতে রোপনকৃত ধানের বীচতলা নস্ট করে ফেলে। এর আগেও একই সম্পত্তিতে আমাদের রোপনকৃত ধানের বীজতলা একাধিক বার নস্ট করে ফেলে ফারুক। একই জমিতে যক্ষনি ধান রোপনের এবং কর্তনের সময় আসে তক্ষনি ফারুক আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফসল নস্ট করে আমাদের আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। যে কোনো সময় আমাদের উপরে হামলা চালাতে পারে ফারুক। তার ভয়ে বর্তমানে আমরা ঘরবাড়ি ছাড়া হয়ে পরিবার সহ রাজাপুরে বসবাস করছি।
জমির বীজতলা নস্ট করার ব্যাপারে আমি ৫ সেপ্টেম্বর রাতে রাজাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিতে গেলে সে আমার অভিযোগ না নিয়ে উল্টো আমাকে অপমান করে বলে এ বিষয়ে আমার কিছুই করার নাই। এ ব্যাপারে মো. কামরুজ্জামান খান প্রসাশনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ সহ মহামন্য আদালত এবং সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃস্টি কামনা করেন।