শিরোনাম:
এম পির ভাঙচুরকৃত কবর পরিদর্শনে বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ সাপাহারে পৈত্রিক সম্পত্তি ফিরে পেতে সংবাদ সম্মেলন গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হত্যা ঘটনায় শেখ সেলিম সহ ১৬১৭ জনের নামে মামলা ভিনদেশি গ্রেটার ফ্লেমিংগো পাখির দেখা মিলল পঞ্চগড়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার সাজা প্রাপ্ত বিডিআর সদস্যরা ন্যায়বিচার ও জেল থেকে মুক্তি এবং চাকুরীতে যোগাযোগ দানের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারক লিপি জমা : গঙ্গাচড়ার পিয়ন থেকে কয়েক কোটি টাকার মালিক ভূপতি বদলি ডিমলার স্বেচ্ছাসেবী আলমগীরের মরণোত্তর চক্ষুদান ঘোষনা বোয়ালমারীর ডিজিএম জানেননা বিদ্যুতের কি অবস্থা, ৬০ ঘন্টা বিদ্যুতহীন নওগাঁ বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে ঈদে মিলাদুন্নবী অনুষ্ঠিত প্রভু হতে আসিনী, মানুষের জন্য কাজ করতে চাই- নওগাঁয় নবাগত জেলা প্রশাসক

নাগেশ্বরীতে সেতু ভেঙে যানবাহন চলাচল বন্ধ,সাত বছর ধরে ভোগান্তি।

নয়ন দাস,কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
6,305.7kভিজিটর

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার মিরারভিটা গ্রামে বেরুবাড়ীর ছড়ার (ছোট নদী) ওপর নির্মিত সেতুটি সাত বছর ভেঙে পড়ে রয়েছে। এতে উপজেলা শহরের সঙ্গে সেতুর পূর্ব পাশের ছয়টি গ্রামের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পরে কাঠের সাঁকো তৈরি করে চলাচল করছেন ওই এলাকার মানুষ। যানবাহন চলাচল না করায় ভোগান্তিতে রয়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্বাধীনতার আগে বেরুবাড়ীর ছড়ার ওপর প্রায় ৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি নির্মিত হয়। ২০১৬ সালে শুষ্ক মৌসুমে ট্রাক্টরের ধাক্কায় সেতুর পিলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওই বছর ভূমিকম্পে সেতুর পশ্চিম দিকের ২০ মিটার এবং পূর্ব দিকের ১০ মিটার দেবে গিয়ে ভেঙে যায়। উপজেলা শহর ও বেরুবাড়ী ইউনিয়নের সঙ্গে সেতুর পূর্ব পাশের আকন্দ পাড়া, চর শালমারা, চর বেরুবাড়ী, হাজিপাড়া, সরকারপাড়া, মন্ডল পাড়া গ্রামের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ভোগান্তিতে পড়েন এসব গ্রামের প্রায় সাত হাজার মানুষ।

২০১৭ সালে বেরুবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় স্থানীয় লোকজন ওই সেতুর ওপর একটি কাঠের সাঁকো নির্মাণ করেন। কাঠের সাঁকোটি সংস্কার না করায় সেটিও ভেঙে যায়। এ বছরের বন্যায় সেতুর একটি অংশ দেবে গিয়ে আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। তবে বিকল্প না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে হাজারো মানুষ চলাচল করছেন।

গত রোববার গিয়ে দেখা যায়, বাঁশের খুঁটির ওপরে জোড়াতালি দেওয়া ভাঙা কাঠের তক্তা দেওয়া। ঝুঁকি নিয়ে অনেকে পার হচ্ছেন। কয়েকজন জানান, যানবাহন নিয়ে উপজেলা শহরে যেতে হলে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে চলাচল করতে হয়। এতে তাঁদের অর্থ ও সময়ের অপচয় হয়।

বেরুবাড়ী বাজার হয়ে উপজেলা শহরে অফিস-আদালতে যেতে এই সেতু দিয়ে পারাপার হতে হয়। স্থানীয় মিরারভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর বেরুবাড়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাগেশ্বরী মহিলা সরকারি কলেজ, নাগেশ্বরী সরকারি কলেজ এবং ওই ইউনিয়নের প্রায় পাঁচটি ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা এই সেতু দিয়ে যাতায়াত করেন।

নাগেশ্বরী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী আল আমিন বলেন, সেতুটি ভেঙে পড়ার পর থেকে স্কুল-কলেজ যেতে ভোগান্তি বেড়েছে। প্রতিদিন প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পথ ঘুরে কলেজে যেতে হচ্ছে। এতে সময় বেশি লাগে। অনেকেই ঝুঁকি নিয়েই ভাঙা কাঠের সেতু দিয়ে পারাপার হন। যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সেতুটি দ্রুত মেরামত করা হলে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের অনেক উপকার হবে।

বেরুবাড়ী ইউপির চেয়ারম্যান সোলায়মান আলী বলেন, বেহাল সেতুর কারণে তাঁর ইউনিয়নের প্রায় সাত হাজার মানুষের যাতায়াতে ভোগান্তি দেখা দিয়েছে। সেতুটি নির্মাণের জন্য উপজেলা এলজিইডি কার্যালয়ে এবং নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে। তাঁরা দ্রুত কাজ শুরুর আশ্বাস দিয়েছেন।

উপজেলা কার্যালয়ের প্রকৌশলী ওয়াসিম আতহার বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে সেতুটি মেরামতের প্রস্তাব পেয়ে সেতুটি পরিদর্শন করেছি। সেতুটি যে রাস্তার ওপর অবস্থিত, সেটি এলজিইডির আইডিভুক্ত নয়। তাই সেতুটি মেরামত করা সম্ভব হয়নি। ওই সেতুসহ উপজেলার ২৩৬টি রাস্তাকে আইডিভুক্ত করার জন্য তালিকা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। রাস্তাটি আইডিভুক্ত হলে রাস্তা ও সেতুর কাজ করা হবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
কপিরাইট ©২০০০-২০২২, WsbNews24.com এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত।
Desing & Developed BY ServerNeed.Com
themesbazarwsbnews25
x