বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর এবং ড. মুহাম্মদ ইউনুসের দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র রুখে দিতে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে নওগাঁ শহরের মুক্তি মোড়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম, নওগাঁ জেলা শাখা।
মানববন্ধনে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান, ৯০এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের উন্নতম সাবেক ছাত্রনেতা , মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম নওগাঁ জেলা শাখা আহবায়ক, বৃহত্তর ১নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামাল সিদ্দিকী বাবুর সভাপতিত্ব বক্তব্য রাখেন সাবেক যুবলীগ নেতা আব্দুল হাই সিদ্দিকী সিটু ও জেলা যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি নিভা আক্তার।
মানববন্ধনে সঞ্চালনা করেন নওগাঁ জেলা ছাত্রলীগের পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক আরাফাত হোসেন হিমেল। ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের উন্নতম সাবেক ছাত্রনেতা কামাল সিদ্দিকী বাবু বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার বিচার শেষ হয়েছে ১৩বছর আগে। সরকারের নিরলস প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বিদেশে আত্মগোপনে থাকা দণ্ডপ্রাপ্ত ৫ পলাতক খুনিকে এখনো দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি।
পলাতক এই ৫ আসামি হলেন- খন্দকার আবদুর রশিদ, শরীফুল হক ডালিম, নূর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী এবং মোসলেহউদ্দিন খান। তিনি আরও বলেন, গ্রামীণ টেলিকম সম্পূর্ণ অলাভজনক ও দাতব্য উদ্দেশ্যে সরকারের কাছ থেকে অনুমোদনপ্রাপ্ত একটি কোম্পানি।
দেশের গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কল্যাণের লক্ষ্যেই এই প্রতিষ্ঠানকে সরকার অনুমোদন দিয়েছে। এই কোম্পানির কোনো ব্যক্তি মালিকানা নেই। আইন অনুযায়ী টেলিযোগাযোগ খাতে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কল্যাণের উদ্দেশ্য ছাড়া এই কোম্পানির কোন অর্থ অন্য কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে হস্তান্তর করা যায় না।
অথচ গ্রামীণ টেলিকম থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা আরেকটি প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ কল্যাণের অনুকূলে বেআইনিভাবে হস্তান্তর হয়েছে। এই টাকা গ্রামীণ কল্যাণ থেকে অন্য জায়গায় নেয়া হয়েছে। এভাবে কয়েকটি হাত ঘুরে এই বিপুল অর্থ সামাজিক ব্যবসার নামে বিদেশে পাচার হয়েছে। এজন্য আমরা দাবি জানাচ্ছি ড.ইউনুসের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।