শিরোনাম:
বিএনপি নেতা নাসিরুলের নামে মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন এম পির ভাঙচুরকৃত কবর পরিদর্শনে বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ সাপাহারে পৈত্রিক সম্পত্তি ফিরে পেতে সংবাদ সম্মেলন গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হত্যা ঘটনায় শেখ সেলিম সহ ১৬১৭ জনের নামে মামলা ভিনদেশি গ্রেটার ফ্লেমিংগো পাখির দেখা মিলল পঞ্চগড়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার সাজা প্রাপ্ত বিডিআর সদস্যরা ন্যায়বিচার ও জেল থেকে মুক্তি এবং চাকুরীতে যোগাযোগ দানের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারক লিপি জমা : গঙ্গাচড়ার পিয়ন থেকে কয়েক কোটি টাকার মালিক ভূপতি বদলি ডিমলার স্বেচ্ছাসেবী আলমগীরের মরণোত্তর চক্ষুদান ঘোষনা বোয়ালমারীর ডিজিএম জানেননা বিদ্যুতের কি অবস্থা, ৬০ ঘন্টা বিদ্যুতহীন নওগাঁ বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে ঈদে মিলাদুন্নবী অনুষ্ঠিত

মেলান্দহ কেজিএস মাদ্রাসার ৩পদে নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ ও দুর্নীতির শেষ নেই।

মোঃ ছামিউল ইসলাম জামালপুরজামালপুর প্রতিনিধিঃ
  • আপডেটের সময় : রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
70.1kভিজিটর

প্রার্থীর আবেদন বাতিল,বদলি পরিক্ষা, ভূয়া সনদ,অর্থ লেনদেন,সঠিক সময়ে পরিক্ষা শুরু না হওয়া, মাললা চলমান অবস্থায় নিয়োগের সুপারিশ,ইত্যাদি অভিযোগ ১৫/৯/২৩ ইং শুক্রবার জামালপুর মেলান্দহ উপজেলার কেজিএস খলিল,বারেক, আইয়ুব দাখিল মাদ্রাসার নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে যাচ্ছে অত্র প্রতিষ্ঠানের সুপার আব্দুল হক। উক্ত প্রতিষ্ঠানের ৩য় দফায় প্রকাশিত আবশ্যক সার্কুলার অনুযায়ী ৩ টি পদের বিপরীতে ১৭ জন আবেদন করেন।সহ: সুপার পদে ৫ জন, আয়া পদে ৬ জন, নিরাপত্তা কর্মি পদে ৬জন।

এর মধ্য মোটা অংকের টাকা নিয়ে ভূয়া জিএসসি প্রত্যায়ন পত্র সংগ্রহ করে নিয়োগের চুড়ান্ত প্রার্থীর খবর পেয়ে একই পদে অন্য আবেদিত প্রার্থী রাজিয়া সুলতানা, কবিতাসহ তিনজনে মিলে এমন দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা করেন।উক্ত মামলার নিষ্পত্তি না করেই অভিযুক্ত সেই হাবাগোবা (জাল জিএসসির প্রত্যায়ন পত্র ওয়ালা) নিজের খাতা চাদনী নামে অন্য প্রক্সি প্রার্থীকে দিয়ে পরিক্ষা দেওয়ান এবং চাদনির খাতা অভিযুক্ত নিপা কয়েক হরফ লিখে জমা দেন।

ভাইভা বোডে অভিযুক্ত আয়া প্রার্থী নিপা নিজের ১/১/১৯৯২ জন্ম তারিখ ও কোন একটা প্রশ্নের উত্তরও দিতে পারিনি তার পরেও পরিক্ষায় প্রথম হয়ে ডিজির প্রতিনিধি হিসেবে আগত ৫ সদস্য নিয়োগ বোডের লুৎফর রহমান তড়িঘড়ি করে আধা ঘন্টার মধ্যে চুড়ান্ত নির্বাচিত তিন পদে তিন জনের নাম ঘোষনা করে দ্রুত কেটে পরেন।সাথে নিয়োগ বোর্ডের অন্যদের টাকা পয়সা ভাগাভাগি করতে জামালপুর চলে যান।

শুধু তাই নয় পরিক্ষা শুরু হবার কথা ছিলো ১০ টায়,শুরু হয় ১১.৩৯ মিনিটে। এই নিয়োগ সার্কুলার ১০/৭/২৩ সমকাল পত্রিকায় ছাপা হলে ১ম ও ২য় বার একই পদে সার্কুলারে যাহারা ৫০০ টাকা ব্যাংক ড্রাফটে আবেদন করেছিল তাদের অনেকেরই আবেদন মৌখিক বাতিল করে এবং তাদের নামে কোন এডমিট বা পরিক্ষায় অংশ গ্রহনের কোন চিটি পত্র দেয়া হয়নি বলে বেলাল নামে এক আবেদন কারী পরিক্ষা চলাকালীন অভিযোগ করেন পরে তাকে বের করে দেয়া হয়।

মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সামিউল আলম পরিক্ষা শুরুর আগে সংবাদ কর্মি ও স্থাণীয় লোকজনের উপস্থিতি দেখে বলেন যে- কোন লাভ নাই আগেই সব ঠিকঠাক করে ফেলেছি। আমার প্রতিষ্ঠান আমি যাকে ইচ্ছে নিয়োগ দেবো কারো কিছু বলাতে যায় আসে না।শুধু ফরমালেটিস পালন।

সুপার- আব্দুল হক বলেন- আমার কিছু বলার নাই,আমি কিছু বলতে পারবো না। তবে ফরমালেটিস মেনেই সব হয়েছে। ডিজির প্রতিনিধি লুৎফর রহমান বলেন- কেউ সাদা খাতা জমা দেয়নি এবং আমি নিয়োগ দিয়ে যাবো মামলার স্ট্রে অডার্র আনতে পারলে নিয়োগ স্থগিত হয়ে যাবে।১০ টার পরিক্ষা ১১.৩৯ শুরুর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান- বাংলাদেশর রাস্তা।দেরি তো হতেই পারে।

অভিযুক্ত নিপাকে কেমন পরিক্ষা হয়েছে ও কি এসেছিলো প্রশ্ন করলে তিনি জানান- মনে নাই কি আইছে তবে পরিক্ষা তেমন ভালো হয়নি।অনেক দিন আগে পড়ছি তো। উল্লেখ্য যে অভিযুক্ত নিপার বাড়ি পাশে দুইটি মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠান থাকা সত্তেও বাড়ি থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার জামালপুর সদর উপেজেলা হতে জিএসসির প্রত্যায়ন পত্র আনতে হয়েছে।যার নথি কোথাও কোন নাম হাজিরা ভর্তি,ফলাফল বহিতে নাম নাই।

শুধু কম্পিউটার দোকান থেকে ১০০ টাকা দিয়ে টাইপ করা প্রত্যায়ন যেখানে প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষরটা সঠিক কি না তাও সন্দেহজনক। পরিক্ষা কেন্দ্রে উৎসুক জনতারা বলেন এখানে একটা পদের জন্য ৭/১০ লক্ষ টাকা ঘোষ বাণিজ্য করেছ । মেলান্দহ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বলেন – আমি অনেক ব্যস্ত। এটা সুপার,সভাপতি ও ডিজির প্রতিনিধি সমন্বয়ে গঠিত কমিটির সিদ্ধান্ত। তবে আমি মামলার বিষয়ে ও আরো অন্যান্য দু একটি কথার বিষয়ে আমি জানিনা।

অভিযোগ কারি রাজিয়া সুলতানা ও কবিতারা জানান- আমরা গোপনে নিপা সহ অন্য প্রার্থীদের চাকুরি দিবে বলে টাকা নিয়েছে বলে জানতে পারি এবং সেই সংবাদের ভিত্তিতে মামলা করি। মামলার আরজিতে যার কথা উল্লেখ করেছি তাকে রাতের গভীর প্রশ্ন ও প্রক্সি দিয়ে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দিচ্ছে। আমরা এটার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি প্রয়োজনে আরো উপরে এবং উচ্চ আদালতে যাবো।

এই মাদ্রাসার শিক্ষকসহ স্টাফ আছে প্রায় ২০ জনের মতো ১ম শ্রেণী হতে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী আছে ৭০/৮০ জন। এবাবে অনিয়ম ঘোষ বাণিজ্যরও দুর্নীতির মাধ্যমে অযোগ্য নিয়োগ হলে হয়তো কিছু দিনের মধ্যেই এই মাদ্রাসাটি শিক্ষার্থী বিহীন হয়ে যাবে এমন অভিযোগ এলাকার সচেতন মহলের।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
কপিরাইট ©২০০০-২০২২, WsbNews24.com এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত।
Desing & Developed BY ServerNeed.Com
themesbazarwsbnews25
x