শিরোনাম:
বোয়ালমারীর ডিজিএম জানেননা বিদ্যুতের কি অবস্থা, ৬০ ঘন্টা বিদ্যুতহীন নওগাঁ বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে ঈদে মিলাদুন্নবী অনুষ্ঠিত প্রভু হতে আসিনী, মানুষের জন্য কাজ করতে চাই- নওগাঁয় নবাগত জেলা প্রশাসক বোয়ালমারীর বিদ্যুতবিহীন ইজিবাইক ভ্যান চালক বিপাকে ৪৫ ঘন্টা, ফ্রিজের মাছ-মাংস নষ্ট গাজীপুরে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ৫ জনের মধ্যে ৩ জনই নরসিংদীর চট্টগ্রামের শহীদের পরিবারের পাশে নতুন জেলা প্রশাসক বোয়ালখালী উপজেলা ছাত্রশিবিরের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ গোপালগঞ্জ রায়পুরায় দুই কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ, গুরুতর আহত ২ প্রভাবশালীদের দাপটে কেনা জমির দখলে রাখতে পারছে না নওগাঁর গরীব কৃষককেরামত, উল্টো বিভিন্ন মামলা, হামলা জরজরিত

নলছিটি পৌরসভার ৫ কোটি ৬০ লাখ টাকার টেন্ডারে অনিয়মের অভিযোগ।

মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
  • আপডেটের সময় : রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
43.8kভিজিটর

ঝালকাঠির নলছিটি পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী কাজী মো. মহসিন রেজার বিরুদ্ধে সিটিসিআরপি প্রকল্পের আওতায় ০৮ নং ওয়ার্ডে ৫ কোটি ৬০ লাখ টাকার একটি সাইক্লোন সেন্টার নির্মানের টেন্ডার প্রক্রিয়ায় গুরতর অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।অনিয়মের বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সিটিসিআরপি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মেসার্স মীর ব্রাদার্সসহ তিনটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।

অভিযোগে জানা যায়, ঝালকাঠি পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী কাজী মো. মহসিন রেজা বর্তমানে নলছিটি পৌরসভায় সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি একটানা ১৭ বছর ঝালকাঠি পৌরসভায় চাকুরী করার কারণে সেখানে দু’তিনটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে তার বিশেষ শখ্যতা গড়ে তুলেছেন। তারমধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে, ঝালকাঠি পৌরসভার বর্তমান মেয়র মো. লিয়াকত আলী তালুকদারের পুত্র মনিরুল ইসলাম তালুকদারের (মনির হুজুর) মালিকানাধীন মেসার্স ইসলাম ব্রাদার্স।

গত ২১ আগস্ট ২০২৩ নলছিটি পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডে ৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে সিটিসিআরপি প্রকল্পের (উপকূলীয় শহর জলবায়ু সহিষ্ণু প্রকল্প) সাইক্লোন সেল্টার নির্মানের জন্য জন্য টেন্ডার আহবান করেন কাজী মহসিন রেজা। যাহার টেন্ডার আইডিনং ৮৫৯১৭১ টেন্ডার ক্লোজিং ডেট ২৫/৯/২০২৩।

উক্ত টেন্ডারে এমন কিছু শর্ত জুড়ে দেন যা একমাত্র মনির হুজুরের মালিকানাধীন বা নিয়ন্ত্রনাধীন লাইসেন্সেই ওই শর্ত পূরণ করতে পারবে। এমনকি টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি আহবানের পূর্বেই মহসিন রেজা তার পছন্দের ঠিকাদারদের সিডিউল আগেই দিয়ে দেন। সাইক্লোন সেল্টারের টেন্ডার আহবানের পর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসাস মীর ব্রাদার্স, মেসার্স ভাইভাই ব্রাদার্স, মেসার্স নুপুর কনস্ট্রাকশনের মালিক সিডিউল ক্রয় করতে গেলে তাদেরকে মহসিন রেজা বলেন, “ নলছিটি পৌরসভার সাইক্লোন সেল্টার নির্মানের কাজটি একজন বিশেষ ঠিকাদারকে দেয়ার জন্য অনেক উপর থেকে অর্ডার আছে, নাম বলা যাবে না।

আপনারা অহেতুক টেন্ডার জমা দিতে পারেন কাজ পাবেন না, বরং জেলের ভাত খেতে হবে। সাইক্লোন সেল্টারের কাজটি যে কাউকে আমি দিতে পারি সে ক্ষমতা আমার আছে। ইজিপি টেন্ডার আমি আহবান করেছি, পাসওয়ার্ড আমার কাছে। দরপত্র জমা দিলে কে কত % নিম্নদর, উর্ধদর, সমদর দিবে তা আমি দেখতে পারবো। আমার কথার বাহিরে কেহ দরপত্র জমাদিলে সে সমস্ত লাইসেন্স ব্লাব লিস্ট এবং পে-অর্ডার বাজেয়াপ্ত করে দেব। কাকে কাজ দেব, উপরের অর্ডারে মেয়র এবং আমি সিদ্ধান্ত নেব। তিনি ঠিকাদারদের আরও বলেন, সিটিসিআরপি প্রকল্পের পিডিকে আমি যা বলবো তিনি সে মোতাবেক কাজ করবেন। পিডির সাথে আমার পাকাপাকি কথা হয়েছে।”

অভিযোগে আরও জানা যায়, কাজী মহসিন রেজা সবসময় সাধারণ ঠিকাদারদের বলে থাকেন, নলছিটি পৌরসভার মেয়র ওয়াহেদ কবীর খান বিশেষ ব্যবস্থায় তদ্বির করে আমাকে নলছিটিতে এনেছেন, কাজেই তাকে কিছু কাজ করে দিতে হবে, তিনি (মেয়র) অনেক টাকা দেনা আছেন। যে ঠিকাদার এ কাজ পাবেন, তিনি যাতে ভালো ব্যবসা করতে পারেন সে ব্যবস্থা করে দিতে হবে।

নলছিটি পৌরসভার একাধিক ঠিকাদার বলেন, কাজী মহসিন রেজা মূলত ঝালকাঠি পৌরসভার মেয়র পুত্র মনির হুজুরের স্বার্থ রক্ষার জন্য বিশেষ কায়দায় নলছিটি এসেছেন। কোন ঠিকাদার সিডিউল ক্রয় করতে গেলে তিনি নিরুৎসাহিত করেন। নলছিটি পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলী কাজী মো. মহসিন রেজা বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দেয়া হয়েছে তা সত্য নয়। সিটিসিআরপি প্রকল্পের টেন্ডার বিজ্ঞপ্তিতে আমার শর্ত জুরে দেয়ার ক্ষমতা নেই, শর্তাবলী ঢাকা থেকে ঠিক করে দেয়া হয়। ৫ কোটি ৬০ লাখ টাকার সাইক্লোন সেল্টার নির্মান কাজের খোজ খবর নিতে আমার কাছে কোন ঠিকাদার আসেনি।

নলছিটি পৌরসভার মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা ওয়াহেদ কবীর খান বলেন, সাইক্লোন সেল্টার নির্মান কাজের টেন্ডার সিডিউল সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। সহকারী প্রকৌশলী কাজী মহসিন রেজাকে মন্ত্রনালয় থেকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, আমি তাকে তদ্বির করে আনিনি। আর তিনি খুব একটা নলছিটি পৌরসভায় আসেনও না। গত দেড় বছরে তিনি ২/৩ বার নলছিটি পৌরসভায় এসেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর
কপিরাইট ©২০০০-২০২২, WsbNews24.com এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত।
Desing & Developed BY ServerNeed.Com
themesbazarwsbnews25
x