মিরপুরের ঢাকা কমার্স কলেজ-সংলগ্ন ঝিলপাড় বস্তির সামনের সড়কে বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যাওয়া একই পরিবারের নিহত ৩ জনের লাশ নিয়ে এসেছে। বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
শুক্রবার রাত ৩ টার দিকে স্বামী মিজান, স্ত্রী মুক্তা ও তাদের ৭ বছর বয়সী শিশু লিমার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। তাদের লাশ দাফন কাফনের জন্য রাতেই ১০ হাজার টাকা অর্থ সহয়তা দিলেন ঝালকাঠির মানবিক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল। শনিবার সকাল ৯ টায় নামাজে জানাজা শেষে তাদের মরদেহ ঝালকাঠির সদর উপজেলার ভাসন্ডা ইউনিয়নের আগরপাশা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
নিহত মিজানের পিতা নাসির হাওলাদার জানান, ছেলে মিজান তার স্ত্রী মুক্তা বেগম ও নাতি লিমা আক্তারের মৃত্যূ কোন ভাবেই মেনে নেয়ার নয়। এ ঘটনার জন্য দায়ীদের বিচার চান তিনি। ৭ মাস বয়সী নবজাতক শিশু হোসাইন ছাড়া এখন আর কেহ নেই তার। তার কান্না থামছেই না। নাসির হাওলাদার আরও জানান, তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে। মিজান মেজ। চার বৎসর হইছে ও ঢাকা থাকে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার অতিবৃষ্টিতে ঢাকা তরিয়ে গেলে মিরপুরের ঢাকা কমার্স কলেজ-সংলগ্ন ঝিলপাড় বস্তির সামনের সড়কে বিদ্যুতায়িত হয়ে চারজনের মৃত্যু হয়। এরমধ্যে তিনজন একই পরিবারের। প্রানে বেঁচে ফিরেছেন নিহত মিজান-মুক্তা দম্পতির ৭ মাসের ছেলে হোসাইন।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা নিষেধ