উজান ও দেশের অভ্যন্তরে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে কুড়িগ্রামের তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া বাড়ছে অন্যান্য নদ-নদীর পানিও। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন নদী তীরবর্তী এলাকার আমন চাষিরা।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ২৪৮ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ২১৩ সেন্টিমিটার, কুড়িগ্রাম সদর পয়েন্টের ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ৮০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
দলদলিয়া ইউনিয়নের তিস্তা নদীর অববাহিকার চাপড়ার পাড় এলাকার কৃষক আব্দুল জলিল বলেন, গতকাল থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে আমার আমনখেতে চলে আসছে। আজ ধানখেত ডুবে গেছে। জমিতে পানি উঠায় খুব চিন্তায় পড়েছি। এর আগেও দুইবার ফসল নষ্ট হয়েছে।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলম বলেন,এরকম বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে শীতকালীন মরিচ ও চালকুমড়াসহ বিভিন্ন শাকসবজির ক্ষতি হতে পারে। এছাড়া রোপা আমনেরও ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন,গত ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রামে ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে আগামীকালের মধ্যে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মানুষ জানান, উজান ও দেশের অভ্যন্তরে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে আগামীকালের মধ্যে পানি কমতে শুরু করবে। তবে এই মুহূর্তে বন্যার কোনো পূর্ভাবাস নেই।