সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে শেখ হাসিনার বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য আশিকুর রহমান খান সবুজ।

শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) তার নিজ নির্বাচনী এলাকা পাবনা-২ আসনে জনগণের সাথে গণসংযোগ ও কুশল বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্ন-উত্তরে এ কথা বলেন তিনি।

এ সময় তিনি আরো বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আ.লীগ এ দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলো। তখন সপ্তম নৌবহরের আক্রমণ হওয়ার কথা ছিল,এদেশের মানুষ বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে আন্তর্জাতিক ও সাম্রাজ্যবাদী অপশক্তিকে মোকাবিলা করেছে। তরুণদের জন্য শেখ হাসিনা সরকার প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও কাজের সুযোগ করে দিয়েছে। বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পদ্মাসেতু রাস্তাঘাট কালভার্ট মেট্রোরেল এসব বহুমুখী উন্নয়নের কারণে পাবনা-২ সুজানগর আমিনপুরের সাধারণ জনগণ পুনরায় নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে।

এ সময় নৌকার প্রার্থী হিসাবে যোগ্যতার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আমার বাবা সুজানগর এলাকার নাজিরগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের একজন প্রতিষ্ঠাতা সংগঠক, আমার বোন ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, অন্য বোন যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এবং আমার বড় ভাই আ.লীগ থেকে বারবার নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে আসছে। আমার পরিবার বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী। উক্ত এলাকা বিএনপির উর্বর ভুমি হওয়ার সত্ত্বেও আমি ও আমার পরিবার নেতাকর্মীরা বিশ্বাস করে নৌকা প্রতিক পেলে বিপুল ভোটে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামীলীগ জয়যুক্ত হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও নাজিরগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান খান, পাবনা শহীদ বুলবুল কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি ইঞ্জিনিয়ার মোর্শেদ হাসান, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা হামিদুল হক হাজারী,নাজিরগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক মন্ডল, নাজিরগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ রাজু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল করিম মন্ডল, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ নাজিরগঞ্জ ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মানিক খান, আ.লীগ নেতা তফিজ মন্ডল,উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সোহেল হাসান বাবুসহ সুজানগর উপজেলা এবং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগসহ সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের অসংখ্য দলীয় নেতাকর্মী।