অশ্লীলতার বিরুদ্ধে ফুসে উঠতে পারেন স্থানীয়রা নিম্নমানের খাবার খাইয়ে গলা কাটতেছেন রেস্তোরাঁ মালিকরা।
বরিশাল সদর উপজেলা দিন তালতলী ব্রিজ সংলগ্ন চড়বারিয়া ইউনিয়নের কীর্তনখোলা নদীর পাড়ে দুই আড়াই বছর পূর্বে ঘরে উঠেছিল কিছু চাইনিজ রেস্তোরা। চাইনিজ রেস্তোরাঁ গুলো কীর্তনখোলা নদীর পাড়ে হাওয়ায় পরিবেশটাও বেশ সুন্দর।
তাই ভোজন ও ভ্রমণ পিপাসুরা প্রতিনিয়তই যাতায়াত শুরু করে কীর্তনখোলা নদীর পাড়ে গড়ে ওঠা চাইনিজ রেস্তোরায়। সেই সুযোগ পেয়ে রেস্তোরাঁর মালিকরা নিম্নমানের বাসি পচা ও ফ্রিজিং খাবার খাইয়ে ক্রেতাদের গলা কাটতেছেন বলে অভিযোগ করেছেন অনেকেই।যার ফলে অনেক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বাড়তেছে হু হু করে।
চাইনিজ রেস্তোরার মালিকদের অন্যতম ব্যবসা হল অল্প বয়সী ছেলেমেয়েদের রেস্তোরায় বসিয়ে খাবার খাওয়ার নামে তাদের অশ্লীল কর্মকাণ্ড করার সুযোগ করে দেওয়া। রেস্তোরায় বসে অশ্লীল কর্মকাণ্ড করার কারণে রেস্তোরাঁ মালিকরা নিম্নমানের খাবার খাইয়ে ভোক্তাদের গলা কাটেন বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক ভোক্তারা।
স্থানীয় সচেতন ও ধার্মিক লোকেরা বলেন চরবাড়িয়া নদীর পাড়ে এই রেস্তোরাঁ হওয়ার কারণে এখানে অনেক লোকই আসে যার মধ্যে অধিকাংশই অল্প বয়সী ছেলেমেয়েরা তাদের চলাফেরা ও বাসন ভঙ্গিতে স্থানীয় সামাজিক পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। স্থানীয়দের মধ্যে অনেকেই বলেন তাদের এমন চলাফেরা দেখে আমাদের লজ্জা হচ্ছে এমনকি আমরা আমাদের মহিলাদেরকে নিয়ে ওখান থেকে হাঁটাচলা করাও দুষ্কর হয়ে উঠেছে।
চরবাড়িয়া নদীর পাড়ে রেস্তোরা ব্যবসার আড়ালে চলছে প্রসেশনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাদক বিক্রির ছড়াছড়ি সাথে আছে জুয়ার ও আসর এবং ছেলেমেয়েদের চরম অশ্লীলতা কর্মকাণ্ড।
অত্র এলাকায় বসবাস করা সকল ধর্মের লোকেরাই ফুসে উঠতে পারে যে কোন সময় এবং ভেঙ্গে ফেলতে পারে এসব অবৈধ অশ্লীল বেহায়াপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
এলাকার অনেকই নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করি এই অশ্লীল বেহায়াপনার এবং মাদক বিক্রির স্পট যাতে আর চলতে না পারে সেই ব্যাপারে। তারা আরো বলেন এসব অবৈধ ব্যবসার নেপথ্যে রয়েছে দলের নাম ভাঙ্গানো কিছু আতিপাতি নেতা।
চরবাড়িয়া কীর্তনখোলা নদীর পাড়ে গড়ে ওঠা এসব অশ্লীল ও অবৈধ ব্যবসায়ী স্পট সম্পর্কে অত্র এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান মাহাতাব হোসেন সুরোজ মোল্লাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন আমার কাছেও স্থানীয়রা অনেক অভিযোগ দিয়েছে ওই খানের ব্যবসায়ীরা আসলেই সমাজ দূষিত করছে। এরকম কার্যকলাপ আমার ইউনিয়ন থেকে অচিরেই বন্ধ হওয়া দরকার আর না হয় এলাকার ছেলেমেয়ের আরো খারাপের দিকে যাবে।ওইখানের ব্যবসায়ীরা আপনার ইউনিয়ন থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিচে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন কিছু ব্যবসায়ীরা নিচে অনেকেই নেয় নাই। অত্র এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছে জাতে বিনোদন স্পটের নামে অশ্লীল কর্মকাণ্ড না করতে পারে ও মাদক বিক্রির স্পট বানাতে না পারে। এবং তিনি আরো বলেন কিছু অসাধু লোক যারা রাজনীতির প্রভাব খাটি ওইখানে এসব কর্মকাণ্ড করে আসছে।
তালতলী ব্রিজ সংলগ্ন চরবাড়িয়া কীর্তনখোলা নদীর পাড়ে গড়ে ওঠা বিনোদন স্পট এর নামে যে অশ্লীল কর্মকাণ্ড ও মাদক বিক্রি হচ্ছে ওপেনে সেই ব্যাপারে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি উত্তর মহোদয় কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন কিনা তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমাদের কাছে অনেক অভিযোগ আছে আমরা বিষয়টি জানি এবং গত ৭ই অক্টোবর চরবাড়িয়ায় ওপেন হাউজ ডে করি ওপেন হাউজ ডে তে অনেক লোকজন উপস্থিত হয় তারাও অভিযোগ দিয়েছে আমাদের পুলিশের টিম কাজ করেছে। খুব শীঘ্রই বরিশালে জেলা প্রশাসক ও ভোক্তা অধিকার সহ আমরা যৌথভাবে ওখানে অভিযান করে এসব অশ্লীল কাম কর্মকাণ্ড সহ সকল কিছু বন্ধ করে দিব।
উক্ত ব্যাপারে বরিশাল ভোক্তা সংরক্ষণ অধিকারের সহকারী-পরিচালক কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন আমাদের কাছেও অভিযোগ আছে আমরা খুব শীঘ্রই তালতলী ব্রিজ সংলগ্ন চরবাড়িয়া কীর্তনখোলা নদীর পাড়ে গড়ে ওঠা অবৈধ সকল ব্যবসায়ের ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
তালতলী ব্রিজ সংলগ্ন চরবাড়িয়া কীর্তনখোলা নদীর পাড়ে গড়ে ওঠা আনন্দ স্পটের নামে যে অবৈধ অশ্লীল কর্মকাণ্ড চলছে তার ব্যাপারে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কোন ব্যবস্থা নেবেন কিনা মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন স্থানীয় চেয়ারম্যান তো আমাদেরকে বলতে পারতো অবশ্যই আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব যাতে সমাজ দূষিত হতে না পারে সে ব্যাপারে।
উক্ত ঘটনার বিষয় কাউনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান বলেন কেউ আমাদের সহযোগীতা চাইলে আমরা অবশ্যই সহযোগিতা করব সকল অশ্লীল কার্যক্রম বন্ধের ব্যাপারে। তিনি আরো বলেন কাউনিয়ার থানা পুলিশ সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপসহীন এবং মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স।