সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী তাহিরপুর উপজেলায় ভারতীয় চোরাই কয়লা ও মাদক বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে মৃত্যু ও সহিংসতার ঘটনা দিনদিন বেড়েই চলেছে। ভারত থেকে অবৈধ পাচাঁরকৃত কয়লা ও মাদক থেকে চাঁদা উত্তোলন নিয়ে চোরাকারবারী মো. আব্দুর রফ মিয়া নিজেকে সোর্স পরিচয়দানকারী চোরাচালান মামলার আসামীকে গণধোলায় দিয়ে
স্থানীয় আরো কিছু চোরাকারবারীরা। অন্যদিকে বিজিবি অভিযান চালিয়ে অবৈধ কয়লা জব্দ করেছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে- সোমবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর থেকে তাহিরপুর উপজেলার টেকেরঘাট ও বালিয়াঘাট সীমান্তের লালঘাট, লাকমা সীমান্ত এলাকা দিয়ে ও চারাগাঁও সীমান্তের লামাকাটা, জঙ্গলবাড়ি, কলাগাঁও, এলসি পয়েন্ট, বাঁশতলা ও লালঘাট এলাকা দিয়ে একাধিক চোরাচালান মামলার আসামী লেংড়া জামাল, রফ মিয়া, আইনাল মিয়া, সাইফুল মিয়া, হযরত আলী, আনোয়ার হোসেন বাবলু, রুবেল মিয়া ও খোকন মিয়াসহ একটি বেপরোয়া চোরাকারবারী সিন্ডিকেট চক্র প্রতিদিন রাতে পৃথক ভাবে ভারত থেকে চোরাই কয়লাসহ বিভিন্ন ভারতীয় পণ্য সীমান্ত বাহিনীর সদস্যদের চোখঁ ফাঁকি দিয়ে দেশের ভেতরে এনে তা বিভিন্ন জায়গাতে পাচাঁর করে আসছিল।
এমতাবস্থায় রাত অনুমান ৮টার সময় চোরাচালান মামলার আসামী রফ মিয়া সীমান্ত বাহিনীর সোর্স পরিচয় দিয়ে চারাগাঁও সীমান্তের পাচাঁরকৃত কয়লা ও মাদকদ্রব্য থেকে সংবাদকর্মী, বিজিবি ও থানা-পুলিশের নাম ভাংগিয়ে চাঁদা উত্তোলন করতে গেলে চোরাকারবারী হাফিজ ও তার লোকজন সোর্স রফ মিয়াকে বেধরক মারপিঠ করে গণধোলাই দেয়।
এ ব্যাপারে গণধোলাইয়ের শিকার সোর্স পরিচয়দানকারী রফ মিয়া বলেন- চাঁদা নিয়ে আমার সাথে কোন ঘটনা হয়নি।
এ ব্যাপারে চারাগাঁও শুল্কস্টেশনের ব্যবসায়ী আবুল বাশার খান নয়ন বলেন- রফ মিয়া মূলত সে এক ইয়াবাকুর বড় সাংবাদিকের সোর্স। এই বড় সাংবাদিক সীমান্ত এলাকার সকল অপকর্ম নিয়ন্ত্রন করে। কে সেই বড় সাংবাদিক এটা আপনার আমার সকলেই জানা । সে চোরাকারবারীদের মাধ্যমে প্রতিরাতে মোটা অংকের চাঁদা নিয়ে গত দুয়েক বছরের আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে। এই সোর্স বড় সাংবাদিক ও প্রশাসনের নাম ভাংগিয়ে দীর্ঘদিন যাবত চাঁদাবাজি ও চোরাচালান করছে। গতকাল রাতে চাঁদা নিয়ে হাফিজ ও তার লোকজন সোর্স রফ মিয়াকে গণধোলাই দিয়েছে।
অন্যদিকে রাত ১১ টার সময় তাহিরপুর চাঁনপুর সীমান্তের রাজাই এলাকা দিয়ে ভারতীয় চোরাই কয়লা পাচারের সময় চাঁনপুর সীমান্ত ফাঁড়ির কমান্ডার আব্দুস শহিদ অভিযান চালিয়ে ৩৫ বস্তা চোরাই কয়লা আটক করে।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের চাঁনপুর ক্যাম্প কমান্ডার আব্দুস শহিদ বলেন- গতকাল সোমবার রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে ৩৫ বস্তা চোরাই কয়লা আমরা জব্দ করেছি। আমরা সীমান্ত এলাকায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা নিষেধ