সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার কোরবান নগর ইউনিয়নের খামতিয়র গ্রামের নজির মিয়ার নিজস্ব মালিকানা ডুবিতে পাশের গোদারগাঁও গ্রামের একটি পক্ষ জাল ফেলে মাছ আহরনের চেষ্টার প্রতিবাদ করলে তাকে দাড়াঁলো অস্ত্র রামদা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করা অভিযোগ পাওয়া গেছে।
খবর পেয়ে তার স্বজনরা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন। তিনি বর্তমানে হাসপাতালের ৫ তলার ৫০৪ নং পূরুষ কেবিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বুধবার ভোরে এমন হামলার ঘটনাটি ঘটে। আহত ব্যাক্তি নজির মিয়া(৬০) তিনি খামতিয়র গ্রামের মৃত হাছন আলীর ছেলে।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, খামতিয়র গ্রামের দক্ষিণ পাশে ৩০ শতক বোরো জমিতে ডোবা দিয়ে প্রতিবছর হেমন্তের মৌসুমে মৎস্য সংরক্ষন ও আহরণ করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন বৃদ্ধ নজির মিয়া। কিন্ত পাশের গোদারগাঁও গ্রামের আব্দুল কাইয়ূমের দুই ছেলে তানভীর ও তাহমিদ মিলে ডোবায় জাল দিয়ে মৎস্য আহরণের চেষ্টা করে এ সময় নজির মিয়া বাধা প্রদান করলে গোদারগাঁও গ্রামের মৃত এরশাদ আলীর ছেলে ইউপি সদস্য আব্দুল কাইয়ূম তার সহোদর আব্দুল হাই মিলে পেছন থেকে এসে নজির মিয়াকে দাড়াঁলো অস্ত্র দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করলে তিনি অধিক রক্তখননে গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। খবর পেয়ে তার স্বজনরা তাকে সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়। এতে বৃদ্ধ নজির মিয়ার সামনের বেশ কয়েকটি দাতেঁ প্রচন্ড আঘাতপ্রাপ্ত হন। এ রির্পোট লিখা পর্যন্ত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে গোদারগাঁও গ্রামের হামলাকারী মো. আব্দুল কাইয়ূমের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,এই ডোবাটি প্রশাসন থেকে গোদারগাঁও সমিতি লীজ নিয়েছে। কিন্তু আহত নজির মিয়া প্রথমে সমিতির লোকজনের উপর হামলা করার পর সমিতির লোকজন নজির মিয়ার উপর হামলা করে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান,অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ##