রিয়াদুন্নবী রিয়াদ গংগাচড়া প্রতিনিধি:
রংপুরের গংগাচড়া উপজেলায় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ তামান্না। গত বুধবার (২৫ অক্টোবর) বাজার মনিটরিং ও আলুর আড়ত মনিটরিং করে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে বিকল্প পদ্ধতি তৈরি করেন। বাংলাদেশে প্রায় সব শ্রেনীর ক্রেতার প্রতিদিনের বাজার তালিকায় থাকে আলু। সেখানে বাজারে আলুর দামই চড়া। পাইকারদের কাছ থেকে বেশি দামে কেনার অজুহাতে চড়া দাম হাঁকাচ্ছেন খুচরা বিক্রেতারা। বাজার মনিটরিংয়ে নিয়োজিত ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করলেও মানা হচ্ছে না সরকার নির্ধারিত মূল্য। আলুর বাজার সহনীয় রাখতে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় গঙ্গাচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাজহারুল ইসলাম লেবু নিয়েছেন অন্যরকম উদ্যোগ। বাজার মনিটরিং করার সময় আলুর আড়দ থেকে ২৬৫ বস্তা ( ১৭,২২৫ কেজি)আলু নিজস্ব অর্থায়নে প্রতি কেজি ৩০ টাকা দরে ক্রয় করেন গংগাচড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাজহারুল ইসলাম লেবু । গতকাল বৃহস্পতিবার ( ২৬ অক্টোবর) ৯.০০ ঘটিকা হইতে গংগাচড়া ইউনিয়ন পরিষদ হতে ৩৬/-(ছত্রিশ) টাকা দরে প্রতি কেজি আলু বিক্রয় করা হয়।এতে ক্রেতাদের মাঝে স্বস্তি দেখা দিয়েছে।এবিষয়ে গংগাচড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাজহারুল ইসলাম লেবু বলেন, বাজারে গিয়ে আলুর কেজি ৬০-৬৫ টাকা।ব্যবসায়ীকে জিঙ্গেস করলে বলে,আমারা আড়দ থেকে আলু ক্রয় করতেছি ৪৫-৫০ টাকা। সেজন্য বিক্রি করতেছি ৬০ -৬৫ টাকা।এরপর আমারা আড়দ এ গিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে আলু ক্রয় করে সরকারি তালিকা অনুযায়ী বিক্রি করতেছি।উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ তামান্না বলেন,সাধারণ মানুষ যেন কষ্টে না থাকে সরকারের এ নির্দেশনা রয়েছে। নিত্য পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে আমরা মাঠ পর্যায়ে নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছি। এরই অংশ হিসেবে সরকার নির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রি শুরু হয়েছে।