চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেলে বাসের ধাক্কায় দুমড়ে মুচড়ে গেছে একটি প্রাইভেট কার।
শুক্রবার রাতে পতেঙ্গা থেকে আনোয়ারামুখী লেইনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। টানেলের সহকারী প্রকৌশলী (টোল ও ট্রাফিক) তানভীর রিফাত জানান, বেপোরোয়া গতির একটি বাস পেছন থেকে প্রাইভেট কারটিকে ধাক্কা দেয়। তবে যাত্রীদের কোনো ক্ষতি হয়নি।দুর্ঘর্টনার পর বাসটি আটক করা হয়েছে এবং প্রাইভেট কারটি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে ও জানান তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যায়, দুর্ঘটনা কবলিত প্রাইভেট কারটি টানেলের দেয়ালে লেগে আছে।
গত ২৯ নভেম্বর রাত ৩টার দিকেও টানেলে দুর্ঘটনা ঘটেছিল। সেই রাতে ও আনোয়ারা প্রান্তে টোল প্লাজায় একটি প্র্যাডো গাড়ি আন্ডারভিহিকেল স্ক্যানিং সিস্টেমের রেলিংয়ের বাম্পারে ধাক্কা দেয়। এতে রেলিংটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গত ২৮ অক্টোবর শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই টানেল উদ্বোধনের পরদিন রোববার সকাল ৬টায় তা যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। শুক্রবার ছিল টানেল উদ্বোধনের পর প্রথম সাপ্তাহিক ছুটির দিন। নদীর তলদেশে এই স্থাপনাটি দেখার অভিজ্ঞতা নিতে দিনভর ছিল উপচেপড়া ভিড়। ব্যক্তিগত গাড়ির পাশাপাশি লোকজন পরিবার নিয়ে টানেল দেখতে গেছে বাসে চড়ে। টানেলে দুই চাকা ও তিন চাকার যানবাহন চলাচলে নিষেধ থাকায় সেই সুযোগটি লুফে নিয়েছে বাস, মাইক্রোবাস ও ভাড়ায় চালিত প্রাইভেট কার।
পতেঙ্গা সৈকত সংলগ্ন টানেলের প্রবেশ মুখে বিভিন্ন যানবাহনের জট লেগে যায়। সেখান থেকে বাস, মাইক্রোবাস ও ভাড়ায় চালিত কারে উঠে টানেল পাড়ি দিতে দর্শনার্থীদের দেখা যায় হুড়োহুড়ি করতে। আবার অনেককেই গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে আনোয়ারা প্রান্তে। বাসে করে টানেল পাড়ি দিতে দর্শনার্থীদের গুনতে হয়েছে ৫০ টাকা (আসা-যাওয়া ১০০ টাকা), আর মাইক্রোবাসে আসা-যাওয়া ২০০/২৫০ টাকা। টানেল দেখতে আগ্রহী দর্শনার্থীদের যাতায়াতে গত ০১ নভেম্বর থেকে ‘টানেল ভ্রমণ’ সার্ভিস নামে দুটি বাস চালু করা হলেও শুক্রবার ছুটির দিনে টানেল পাড়ি দিতে দেখা গেছে কয়েকশ বাসকে।
শুক্রবার আনোয়ারা প্রান্তে টোল বক্সে দেখা গেছে দীর্ঘ লাইন। আনোয়ারা থেকে পতেঙ্গা প্রান্তে এসে যান জটের জন্য অনেকেই দেখা গেছে টানেলের মুখে গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেঁটে মূল সড়কে আসতে।