পাবনায় সাংবাদিকতার ক্ষমতা অপব্যবহার করে চাঁদাবাজি, চুরি, জমিদখল, মারধর,অবৈধ মাদকদ্রব্য জাল টাকা অস্ত্র ব্যবসা ও সাধারণ মানুষকে হয়রানিসহ নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে এটিএন বাংলার জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক মোবারক বিশ্বাস’র বিরুদ্ধে।
অনুসন্ধান করে জানা যায়, তার নিজ বন্ধু আনসারুল হাসান শাকিলের প্রিন্টিং প্রেস এর প্রায় ১৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মালামাল চুরি ও আত্মসাৎ, মেসার্স জুবলি এন্টারপ্রাইজ থেকে গো-খাদ্যে ভেজাল থাকার অভিযোগ দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি,পাবনা প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন তথ্য উপস্থান, সাংবাদিক ও সমাজসেবক মৃত রোটারিয়ান আজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে বানোয়াট ও মিথ্যা অভিযোগ এনে প্রতিবেদন করে তার পরিবারকে সামাজিকভাবে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া যায়। এছাড়াও নিজের আপন বড় ভাইকে হাকিম বিশ্বাসের বাড়ি ও জমিদখল এবং মারপিটের মতো অভিযোগ, অবৈধ মাদকদ্রব্য জাল টাকা ও অস্ত্র ব্যবসার অভিযোগের সত্যতা মিলেছে।
, কথিত সাংবাদিক মোবারক আমার পরিচিত ছিলেন। তার আর্থিক অসচ্ছলতার কথা আমার কাছে বললে আমি তাকে আমার প্রতিষ্ঠান ‘ইকো ডিজিটাল সাইন’দেখভালের দায়িত্ব অর্পন করি। ব্যবসা করার সুত্রে আমি ঢাকাতে অবস্থান করি। দীর্ঘ ১২ মাস পর আমি আমার প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবসার হিসাব বুঝে নিতে গিয়ে ব্যবসায় গরমিল দেখে আমার প্রতিষ্ঠানের সব হিসাব বুঝিয়ে দিয়ে প্রতিষ্ঠান ত্যাগ করতে বলি। হঠাৎ মোবারক আমার প্রতিষ্ঠানে ৬ লক্ষাধিক টাকা বিনিয়োগের মিথ্যা অভিযোগ আনে এবং আমাকে বলে টাকা ফেরত না দিলে প্রতিষ্ঠান সে ছাড়বে না ও এক পর্যায়ে গালিগালাজ করে প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দেয়।
এদিকে সে আমার প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড এর নাম পরিবর্তন করে আর্ট কালচার দেয়। পরে আমার প্রতিষ্ঠানের মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নেয়। কথিত সাংবাদিক মোবারক মুঠোফোনে আমার স্ত্রী সানজিদা পারভীনকে ফোন দিয়ে প্রথমে বিশ লক্ষ টাকা পরে দশ লক্ষ টাকা আদায় করবে বলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও ভীতি প্রদর্শন করে। টাকা না পেলে আমার খেয়াঘাট পাড়ার ফ্ল্যাট দখল করবে বলে হুমকি দেয়। পরবর্তীতে আমি সামাজিকভাবে আইনজীবী মারফত শালিসী বিচারের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করলে সে আমার প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা দাবি করে ও শালিস থেকে উঠে বের হয়ে যায়।
এমতাবস্থায় আমি পাবনা সদর থানায় অভিযোগ দাখিল করি। অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তীতে চুরির মামলা হয়। মামলাটি চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অধীনে তদন্তাধীন রয়েছে। কথিত সাংবাদিক মোবারক আমার প্রতিষ্ঠানের ৩ টি কম্পিউটার, প্রিন্টিং প্রেস মেশিন, এয়ার কন্ডিশনার, চেয়ার ও টেবিলসহ প্রায় ১৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মালামাল চুরি ও আত্মসাৎ করেছে।
কথিত সাংবাদিক মোবারক তার অপকর্ম ঢাকতে ভিন্ন ভিন্ন গণমাধ্যমে শাকিলের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ দেখিয়ে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। তিনি গণমাধ্যমে উল্লেখ করেন, ঢাকার মালিবাগে ১২৭ নং বাড়ির চারতলায় নিট হেভেন নামক গার্মেন্টস’এ কাঁচামাল আমদানি ও বিক্রয়ের আড়ালে ইয়াবা ও শিসার ব্যবসা করেন শাকিল কিন্তু অনুসন্ধানে সেখানে আনসারুল হাসান শাকিলের কোন গার্মেন্টস পাওয়া যায়নি।
পাবনায় আনসারুল হাসান শাকিলের মাদক নেটওয়ার্ক ও সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে বস্তুত আনসারুল হোসেন শাকিল একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। তিনি ১৯৯৭ সাল থেকে ২০১৫ পর্যন্ত গাজীপুরের কোনাবাড়িতে যমুনা গ্রুপ,আরকে টেক্সটাইল ও নারায়াণগঞ্জে মাইক্রোফাইবারসহ সুনামধন্য প্রতিষ্ঠানে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসাবে চাকুরী করেছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকাতে মেশিনারিজ এর ব্যবসা পরিচালনা করছেন। পাবনার বাইরে সে দীর্ঘদিন রয়েছে তাই তার মাদক নেটওয়ার্ক ও সন্ত্রাসী বাহিনী থাকার কথা অনুসন্ধানে বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন বলে জানা গেছে।
এছাড়াও কথিত সাংবাদিক মোবারক গণমাধ্যমে আনসারুল হাসান শাকিলের বিরুদ্ধে তার আপন ছোট ভাইয়ের সাথে দ্বন্দসহ তার নানাবাড়িতে তার মায়ের সম্পত্তির গাছ কর্তনের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য উপস্থান করেন।
অনুসন্ধানে জানা যায় পাবনার বড় বাজার রোডের মেসার্স জুবলি এন্টারপ্রাইজ থেকে গো-খাদ্যে ভেজাল থাকার অভিযোগ দেখিয়ে ৫০ হাজার হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন কথিত সাংবাদিক মোবারক। চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় মোবারক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে ছড়িয়ে দেন, এমনকি প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী আলহাজ্ব খায়রুল হোসেন খানের ছেলে সুলভ খানকে সন্ত্রাসী বলে তার ছবি দিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
এ বিষয়ে জুবলি এন্টারপ্রাইজ প্রাইজের সত্ত্বাধিকারী আলহাজ্ব খায়রুল হোসেন খান জানান, সাংবাদিক মোবারক আমার দোকান থেকে গো-খাদ্যর ভূসি নেওয়ার পর হঠাৎ ভূষিতে ভেজাল ও ময়লা থাকার অভিযোগ দাবি করে বলে আপনি ভেজাল খাদ্য বিক্রি করেন, আপনার বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এক পর্যায়ে তিনি আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। আমি টাকা দিতে অস্বীকার করি তখন সাংবাদিক মোবারক আমার উপর চড়াও হয় তৎক্ষনাৎ আমার বড় ছেলে সুলভ এসে হাজির হয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেস্টা করে।
এ সম্পর্কে জুবলি এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারীর ছেলে সুলভ খান জানান, আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদা দাবি করার পর আমরা চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে যায়। এক পর্যায়ে সে তার মুঠোফোন বের করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভ করার চেস্টা করলে তার মুঠোফোনের সামনে বাধার প্রলয় সৃষ্টি করি পরে প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়ে সে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভে এসে মিথ্যা অভিযোগ আনে ও এখনো মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। দুই যুগেরও বেশি সময় আমরা মিলস্ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি ইতিপূর্বে কেউ আমাদের প্রতিষ্ঠানের নামে কখনো অভিযোগ করেনি।
অনুসন্ধানে ঐতিহ্যবাহী সাংবাদিক সংগঠন পাবনা প্রেস ক্লাবের নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য উপস্থানের সত্যতা মিলেছে। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের কাছে থেকে খোজ নিয়ে জানা যায়, পাবনা প্রেস ক্লাবের নির্বাচিত নেতৃবৃন্দরা
অনুসন্ধানী সাংবাদিক। জনসাধারণের দূর্ভোগ ও কুচক্রী মহলের দূর্নীতি তারা গণমাধ্যমে উন্মোচন করেন।
অনুসন্ধানে কথিত সাংবাদিক মোবারকের অনলাইন পত্রিকায় সাংবাদিক ও সমাজসেবক মৃত রোটারিয়ান আজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে আনিত অর্থ আত্মসাৎ ও অপকর্ম ঢাকতে পত্রিকার অনুমোদন’র অভিযোগটি বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন তার সত্যতা মিলেছে।
এ বিষয়ে শিক্ষাবিদ ও গবেষক ড. আব্দুল আলিম জানান, রোটারিয়ান আজিম উদ্দিন ছিলেন সমাজসংস্কারক। তিনি তার এলাকায় দারিদ্র বিমোচনে কাজ করেছেন। তিনি অসংখ্য
বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন।
তথ্য অনুসন্ধানে আরো জানা যায় সাংবাদিক আজিমের সততা ও নির্ভীক সমাজসেবার কথা। তার প্রতিষ্ঠানের সকলে তার ব্যাপারে তার সততা ও সমাজসেবার বিষয়টি আলোচনা করেন।
অনুসন্ধান করে আরো জানা যায়, পাবনা জেলার অগ্রণি ব্যাংক লিমিটেড আব্দুল হামিদ রোড শাখা কর্তৃক ৩৮ লক্ষ ৩১ হাজার ৬৭৬ টাকার ঋণ খেলাপি মামলা রয়েছে এটিএন বাংলার জেলা প্রতিনিধি মোবারক বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। ১৯৯২ সালে অগ্রণি ব্যাংক আব্দুল হামিদ রোড শাখা থেকে ঋণ নেওয়ার পর ঋণ খেলাপি হলে অগ্রণি ব্যাংকের ঋণ খেলাপি মামলায় ৬ মাস জেল হাজত খাটেন মোবারক বিশ্বাস ও তার ভাই মৃত কুদ্দুস বিশ্বাস।
পরবর্তীতে অগ্রণি ব্যাংক আব্দুল হামিদ রোড শাখা থেকে ২০১৫ সালে ২০ লক্ষাধিক টাকা ঋণ নেওয়ার পর ঋণ খেলাপি হলে বর্তমানে মোবারক বিশ্বাসের নামে আদালতে ৩৮ লক্ষ ৩১ হাজার ৬৭৬ টাকার মামলা চলমান রয়েছে। ১৯৯৫-৯৬ সালে মাদকদ্রব্য হেরোইন, অস্ত্র ও জাল টাকার ব্যবসা পরিচালনা করতো মোবারক বিশ্বাস ও তার ভাই মৃত কুদ্দুস বিশ্বাস। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহীতে উক্ত ব্যবসা পরিচালনা করতো দুই ভাই। রাজশাহীতে পুলিশ হাতেনাতে ধরার পড়ে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করে। সেখানে সাত মাস হাজত খাটে মোবারক বিশ্বাস।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, এটিএন বাংলার পাবনা জেলা প্রতিনিধি মোবারক বিশ্বাস যে বাড়িটি দখল করে বসবাস করে নিজের বাড়ি বলে দাবি করছে তার দলিল অনুযায়ী বাড়িটির মালিকানা হাকিম বিশ্বাসের। দলিলে ২৮ দাগের মালিক হাকিম বিশ্বাস ও মৃত কুদ্দুস বিশ্বাস। হাকিম বিশ্বাস ২৮ দাগে বাড়ির করার পর পারিবারিক ডিট অনুযায়ী উক্ত বাড়ির মালিকানা দাবি করবে না মৃত কুদ্দুস বিশ্বাস এই মর্মে স্বাক্ষর করে এবং ২৮ দাগের অন্য জায়গা মৃত কুদ্দুস বিশ্বাসের হবে বলে পারিবারিক ডিটে উল্লেখিত রয়েছে। দলিলে ২৮ দাগে সাংবাদিক মোবারক বিশ্বাসের কোন জায়গা নেই কিন্তু মোবারক বিশ্বাস মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি নিয়ে হাকিম বিশ্বাসের বাড়ি এটিএন বাংলার সাংবাদিক পরিচয়ে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে দখল করে আছে। তার দাবির সাথে বাস্তবের কোন মিল কারন অনুসন্ধানে দলিল অনুযায়ী ২৮ দাগে তার কোন মালিকানা নেই।
উল্লেখ্য, এটিএন বাংলার জেলা প্রতিনিধি মোবারক বিশ্বাসের সাথে কারো বণিবণা না হলে তার অনলাইন পত্রিকা দৈনিক সারা বাংলা ২৪ সহ বিভিন্ন ভুইফোঁড় অনলাইন পত্রিকায় ভুক্তভোগীদের নামে কুরুচিপূর্ণ ও বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করে সামাজিকভাবে হয়রানি ও হেয়প্রতিপন্ন করেন।