নওগাঁয় ঘাতক স্বামীর হাতে চাতাল শ্রমিক স্ত্রী লাইলী বেগম কে জবাই করে খুনের ঘটনায় বৃহস্পতিবার পূর্বরাত সারে ৭টারদিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিহত গৃহবধূর অভিযুক্ত স্বামী আমজাদ হোসেন (৫০) কে আটক করেছে।
এসময় হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন এবং হত্যা কাজে ব্যবহৃত রক্তমাখা বটি উদ্ধার করেন পুলিশ।
বিষয়টি বৃহস্পতিবার দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন মহাদেবপুর থানার চৌকশ অফিসার ইনচার্জ মোজাফফর হোসেন।
আটককৃত আমজাদ হোসেন নওগাঁর মান্দা উপজেলার পার এনায়েতপুর গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে। জানা যায়, গত রবিবার ৩ ডিসেম্বর পূর্বরাতে নওগাঁর মহাদেবপুর থানাধীন নওহাটামোড় পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার হাটচকগৌরী (গোয়ালবাড়ি) এলাকায় উজ্জল চাউল কল নামে এক ধান চাতালের ভাড়াটিয়া ব্যবসায়ী আব্দুর রহমানের ধান চাতালের শ্রমিকদের থাকার ঘরে স্বামী-স্ত্রীর বিবাদ কে কেন্দ্র করে পরিকল্পিতভাবে স্বামী আমজাদ হোসেন ধারালো বটি দিয়ে স্ত্রী লাইলী বেগম কে গলাকেটে হত্যার পর পালিয়ে যায়।
সকালে ঘটনাটি জানাজানি হলে লোকজনের মাঝে আলোচিত হয় এবং খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌছে ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ উদ্ধার করেন।
হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহত লাইলী বেগমের ভাই আব্দুস সামাদ প্রামানিক বাদী হয়ে মহাদেবপুর থানায় এজাহার দায়ের করলে মামলার মূল আসামী কে গ্রেফতার সহ মামলার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ তৎপর হয়।
নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার রাশিদুল হক এর দিক-নির্দেশনায় ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মহাদেবপুর সার্কেল) এর নির্দেশে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফফর হোসেন ও মামলার তদন্তকারী অফিসার এস আই জিয়াউর রহমান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নওগাঁ শহর থেকে অভিযুক্ত স্বামী আমজাদ হোসেন কে আটক পূর্বক হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা বটি উদ্ধার করেন।
এ ব্যাপারে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফফর হোসেন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত স্বামী আমজাদ হোসেন জানায়, পারিবারিক বিবাদের জেরধরে গত ৩ ডিসেম্বর রাত অনুমান ২ টার দিকে চাতালে তাদের থাকা শয়ন ঘরে ধারালো বটি দিয়ে স্ত্রী লাইলী বেগম কে জবাই করে হত্যা করেন এবং হত্যার পর সে পালিয়ে যান।
আটককৃত আমজাদ হোসেন কে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।