রিয়াদুন্নবী রিয়াদ গঙ্গাচড়া প্রতিনিধি:
‘দ্যাশোত কী এমন হইলে যে এক রাইতোতে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ হয়্যা গেইল। ১০০ টাকার পেঁয়াজ অ্যালা ২০০ টাকাতও দেয়চে না। পেঁয়াজ অ্যালা সোনা হয়্যা গেইছে। এমন যে কি হইলো রাইতা রাইতি জিনিসের দাম দ্বিগুণ হইলো হামরা বাঁচমো কেমন করি কন? এইগ্যালা দ্যাখার কি কেউ নাই?’ রংপুর গঙ্গাচড়া বাজারে কেনাকাটা করতে এসে আক্ষেপ করে কথাগুলো বলছিলেন ধামুর গ্রামের বাসিন্দা মোখলেছুর রহমান। তাঁর মতো যাঁরা পেঁয়াজ কিনতে এসেছিলেন, দাম শুনে সবাই ক্ষুব্ধ হয়েছেন। বড়াইবাড়ি বাজারে ক্রেতা হানিফ বলেন, দিন দিন জিনিসের দাম যেভাবে নাগালের বাইরে যাচ্ছে, তাতে বেঁচে থাকাই কঠিন। দুই দিন আগেই ৬০ টাকায় আধা কেজি পেঁয়াজ কিনলাম, আজ সেই পেঁয়াজের কেজি ২৩০ টাকা।প্রতি কেজি পেঁয়াজ দেশি জাতের বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০, আর ভারতীয় ২১০ থেকে ২২০ টাকায়। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত বৃহস্পতিবার পাইকারিতে প্রতি কেজি দেশি পুরোনো পেঁয়াজ ১১০ ও ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০ টাকায় কিনে বিক্রি করেছেন ১২০ টাকা পর্যন্ত। সেই পেঁয়াজ শুক্রবার পাইকারিতে ২০০ থেকে ২২০ টাকায় কিনতে হয়েছে। তাও পাওয়া যাচ্ছে না। তাই দাম বেড়েছে।গঙ্গাচড়া বাজারে খুচরা বিক্রেতা হালিদ আলী বলেন, ‘এলসি বন্ধের হুজুগে বড় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করছেন। রাতারাতি দাম দ্বিগুণ করেছেন। তাঁদের কেউ ধরে না। আমরা কেনা দামের থেকে ১০-১২ টাকা লাভ করে বিক্রি করছি, এতে যত দোষ। ভাবছি, যা আছে তা বিক্রি হলে আর পেঁয়াজ তুলব না।’এ বিষয়ে কথা হলে রংপুর কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ বিপণন কর্মকর্তা রবিউল হাসান জানান, বাজারে প্রয়োজনের অর্ধেকের কম সরবরাহ আছে। মোকামে এ সময় যে পরিমাণ পেঁয়াজ থাকার কথা তার ৪ ভাগের ১ ভাগও নেই।বাজার নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রংপুরের সহকারী পরিচালক বোরহানউদ্দিন বলেন, ‘আমরা বাজার মনিটরিং করছি। ১৫০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করা হয়েছে। এই দামে এখন থেকে বিক্রির জন্য খুচরা বিক্রেতাদের বলা হয়েছে। এর বেশি কেউ নিলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’